রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিন দিনের সফরে বাংলায় আসছেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। দিন তিনেকের এই সফরে কলকাতায় বিএসএফ-এর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি এরাজ্যে দলের নেতাদের সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করবেন শাহ।
বছর খানেক পর ফের বাংলায় অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ৪ মে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৫ মে সকালে কলকাতায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। ওই দিন বিকেলেই কলকাতায় দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন শাহ। ৬ মে উত্তরবঙ্গে রওনা দিতে পারেন অমিত শাহ। বিএসএফ-এর আরও একটি অনুষ্ঠানে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এরই পাশাপাশি শিলিগুড়িতে দলের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে বিজেপির এই শীর্ষ নেতার।
ফের বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বেশ কয়েকবার অমিত শাহের বঙ্গ সফরের খবর চাউর হয়। যদিও আসেননি শাহ। তবে এবার সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৪ মে কলকাতায় পা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, শাহি-সফর এবার রাজনৈতিক দিক থেকেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।
কারণ, বাংলায় সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড। রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যা থেকে শুরু করে পরপর কাউন্সিলর খুন, এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার বিজেপি। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি তুলেছেন বিজেপির একাধিক নেতা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর টিপ্পনি, ''মুখ্যমন্ত্রী থাকুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ভার নিক কেন্দ্রীয় সরকার।'' ঠিক এই আবহেই বঙ্গে পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন- সৌগত-কুণালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তৃণমূল, কিন্তু মমতার মাথায় অন্য কৌশল
যদিও বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি বারবার সরব হয়েছেন শাহ নিজেও। দিন কয়েক আগেই সংসদে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে টিপ্পনি কাটতে শোনা গিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও। সতীর্থ এক সাংসদকে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''বঙ্গাল চলি যাও জান চলি জায়েগি (বাংলায় যান, জীবন চলে যাবে)।''
তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে সোচ্চার হলেও বিন্দুমাত্র স্বস্তিতে নেই বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডও। লাগাতার ভাঙনে দলের সংগঠনের শক্তি ব্যাপকভাবে কমছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, দল ছাড়ছেন একের পর এক নেতা। মূলত রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েই দল ছাড়ছেন নেতারা।
এর ওপর সতীর্থদের দলত্যাগ নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলছেন দলের নেতাদের অন্য একটি অংশ। সব মিলিয়ে কোন্দল-ভাঙনে ঘোর বিপাকে বঙ্গ বিজেপিও। এই আবহে শাহের বাংলা সফর বেশ ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলে ভাঙন এড়াতে শাহি-টিপস আদৌ কাজে লাগে কিনা নজর থাকবে সেদিকও।