যত দিন গড়াচ্ছে, ততই বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের চক্ষুশূল হয়ে উঠছেন শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা। সিএএ বিক্ষোভের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র দিল্লির শাহিনবাগকে নিশানা করে এবার গর্জে উঠে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। ‘আত্মঘাতী হামলাকারীদের আঁতুরঘর হয়ে উঠছে শাহিনবাগ’, এই মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন গিরিরাজ।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘ঠান্ডায় শাহিনবাগে এক মহিলা তাঁর সন্তানকে হারিয়েছেন। ওই মহিলা বলছেন তাঁর সন্তান শহিদ হয়েছে। এই সমস্ত আত্মঘাতী হামলাকারী ও খিলাফত আন্দোলন ২ থেকে রক্ষার জন্য ভারতের সজাগ থাকা উচিত’’।
আরও পড়ুন: ‘এখনও মন্ত্রীর চেয়ারে বসে!’ অবাক মমতা
উল্লেখ্য, এর আগেও শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের নিশানা করে বেনজির আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। কিছুদিন আগে বিজেপি নেতা পরভেশ ভার্মা বলেছিলেন, ‘‘দিল্লিবাসী জানেন কাশ্মীরে কী ঘটেছিল। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মেয়ে-বোনদের ধর্ষণ করা হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশ, হায়দরাবাদ, কেরালায়। আজ সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লির শাহিনবাগে। লাখো মানুষের জমায়েত হয়েছে সেখানে। ওঁরা আপনার বাড়িতে ঢুকে আপনার মেয়ে-বোনকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলতে পারে’’। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের একটি সভায় ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো’ মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক বাধে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘জামিয়া, শাহিনবাগের আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে। দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত এটা’’।
আরও পড়ুন: ‘গান্ধীজির স্বাধীনতা সংগ্রাম আসলে সাজানো নাটক’, বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। প্রথম থেকেই শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের টার্গেট করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। এই আবহে জামিয়ার পর শাহিনবাগে বিক্ষোভস্থলে গুলি চালানোর ঘটনা নয়া মোড় নেয়। এর আগে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সিএএ বিক্ষোভ চলাকালীন প্রকাশ্যে গুলি চালায় এক ‘নাবালক’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন