UP BJP leaders blame officials for failure in LS: লোকসভা নির্বাচনে চরম ব্যর্থতার কারণ কী? কেন্দ্রীয় নেতাদের রোষ থেকে বাঁচতে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতৃত্ব যাবতীয় দায় ঠেললেন কর্মীদের ঘাড়ে। তাঁরা বলেছেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের কাছে বিজেপি কর্মীরা অপমানিত হচ্ছিলেন। আর, সেই কারণে তাঁরা স্থানীয় বুথে জয়ের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন।।' যা শুনে, পালটা কটাক্ষের রাস্তায় হেঁটেছেন বিরোধীরা। তাঁদের কটাক্ষ, আসলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তার জেরেই লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফলাফল খারাপ হয়েছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে পেয়েছে ৩৩টি আসন। পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালে তারা উত্তরপ্রদেশে পেয়েছিল ৬২টি আসন। সেবার তারা উত্তরপ্রদেশে প্রদত্ত ভোটের ৪৯.৯৮% পেয়েছিল। এবার সেটা কমে হয়েছে ৪১.৩৭%। যার কারণ হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, সংবিধান এবং সংরক্ষণ ইস্যুতে প্রচার, ওবিসি এবং দলিত ভোটের বিভাজনকেই বিরোধীরা কৃতিত্ব দিয়েছেন। কিন্তু, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বিরোধীদের এই দাবি মানতে নারাজ।
যাইহোক আসল কারণটা খুঁজতে, ১৯ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী আসন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নির্বাচনী এলাকা লখনউকে বাদ দিয়ে বিজেপি ৭৮টি নির্বাচনী এলাকায় নিজেদের পর্যালোচনা করেছে। ২৪টি প্রশ্ন দিয়ে সাজানো এক প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রবীণ বিজেপি নেতারা দলের স্থানীয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। কেন দল আসন হারাল, সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন। কেন বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় জয়ের ব্যবধান কমল, তা-ও জানার চেষ্টা করেছেন।
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ বিজেপির অফিস-আধিকারিক এবং আরএসএস কর্মীরা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন। রাজনাথ সিংয়ের দেওয়া বিশেষ রিপোর্টগুলোকে বিবেচনার মধ্যে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের রিপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। এই যাবতীয় রিপোর্ট, চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে ব্যাপক তুলকালাম, কতটা রদবদল হয়েছে নতুন বিধিতে?
ফলাফল পর্যালোচনার সঙ্গে যুক্ত বিজেপির এক প্রবীণ আধিকারিক বিরোধীদের অভিযোগ কিছুটা হলেও মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'সংবিধান এবং সংরক্ষণের ব্যাপারে বিরোধীদের প্রচার, প্রশ্নপত্র ফাঁস, বেকারত্বের জেরে সৃষ্টি হওয়া হতাশা এবং স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলা ও অপমানের কারণে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। যা এবারের নির্বাচনে বিজেপির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। এর দায় অবশ্যই প্রশাসনের। কারণ, প্রশাসনের দ্বারাই ভোটাররা সারাবছর পরিচালিত হন। জনসাধারণকে কোনও রাজনৈতিক দল পরিচালনা করে না। রাজনৈতিক দল কেবল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।'