সব জল্পনার শেষ। আসন্ন নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকেই লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শনিবার হিন্দি বলয়ের বৃহৎ ও জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। ১০৭ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, গোরক্ষপুর থেকে ভোটের ময়দানে যোগী আদিত্যনাথ।
এই প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়াই করবেন যোগী আদিত্যনাথ। ফলে কোথা থেকে দাঁড়াবেন তিনি তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। বিজেপি সূত্রে জানান যে, অযোধ্যা থেকে ভোটে প্রতিন্দন্দ্বিতা করতে চেয়ে নিজেই দলকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও উঠে এসেছিল মথুরার নামও। উন্নয়নের খতিয়ান থাকলেও উত্তরপ্রদেশে প্রচারে ফের হিন্দুত্বকে ইস্যু করেছে গেরুয়া বাহিনী। সেই বার্তা আরও প্রকট করতেই রামজন্মভূমি অযোধ্যা থেকে যোগীর ভোটে লড়াইয়ের কথা শোনা যায়। কিন্তু, বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটল।
গোরক্ষপুর পম্দ শিবিরের দুর্গ। গত দু'বার এই কেন্দ্র থেকেই সাংসদ হয়েছেন যোগী। পরে মুখ্যমন্ত্রী হলে লোকসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী হলেও উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য নন যোগী। উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদ থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
ফলে এই প্রথমবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনী ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যোগী আদিত্যনাথ। আর তাঁকে টিকিট দেওয়া গল গেরুয়া দুর্গ গোরক্ষপুরেই।
কেন গোরক্ষপুরে যোগী?
অযোধ্যা বা মথুরায় ভোটে যোগী নয়া প্রার্থী হত। লড়াইটাও তাই ছিল তুলনামূলকভাবে কঠিন। সেক্ষেত্রে প্রচারে নিজের কেন্দ্রে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সমস্যা পড়তে হল শাসক দলকে। কিন্তু গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত যোগী গোরক্ষপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়ানোয় প্রচারের ক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ হল। তাছাড়া এই কেন্দ্র যোগীর জন্য অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বলেই মনে করছে মোদী-শাহরা।
আগামী ৩রা মার্চ ষষ্ঠ দফার ভোটে গোরক্ষপুরে নির্বাচন হবে।
Read in English