আগামি দিনে সমাজবাদী পার্টিতে জগ দিতে চলেছে বিএসপি থেকে বিতাড়িত ৯ বিধায়ক। এই দলবদলে উত্তর প্রদেশে ভোটের আগে সপা’র পায়ের তলার মাটি কিছুটা শক্ত হবে। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। মঙ্গলবার অখিলেশ যাদবের বাসভবনে গিয়ে এই ৯ বিধায়ক দেখা করেন। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিএসপি-র টিকিটে এই বিধায়করা জিতলেও, পরে বহেনজি মায়াবতীর রোষে পড়েন। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁদেরকে বহিষ্কার করেন মায়াবতী। তারপর থেকে দলহীন হয়ে সপা-র হাত ধরতে মুখিয়ে এই বিধায়করা।
জানা গিয়েছে, ৪ বারের বিধায়ক রামবীর উপাধ্যায় এবং মুসলিম বিধায়ক মহম্মদ আসলাম এদিন দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন মুলায়ম-পুত্রের সঙ্গে। বিএসপি নেত্রীর ঘনিষ্ঠ সতীশ মিশ্র তাঁদের অপমান করেছেন। এই অভিযোগেই সরব ওই ৯ বিধায়ক।
এদিকে, মাস কয়েক আগে সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশের দলের থেকে অনেক পিছিয়ে বিজেপি এবং বিএসপি। তাঁর গ্রামীণ ভোটারদের মন বুঝে এখন থেকেই ২০২২-এর ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছেন সপা প্রধান। কারণ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে বিজেপির অন্দরেই কোন্দল। সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন আদিত্যনাথ। শাসক দলের এই টালমাটাল অবস্থায় ঘর গুছিয়ে নিতে তৎপর অখিলেশ।
জানা গিয়েছে, ২০১৭-র ভোটে উত্তরপ্রদেশে ১৯টি আসনে জিতেছিল বিএসপি। এর মধ্যে ১১ জন বিধায়ককে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করেছেন মায়াবতী। চলতি মাসেই বিএসপি পরিষদীয় দলের নেতা লালজি এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাম অচলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি আসন উপনির্বাচনে খুইয়েছে মায়াবতীর দল।অপরদিকে মঙ্গলবারই অখিলেশ জানিয়েছেন, আগামী ভোটে ছোট দলগুলির সঙ্গে সমঝোতা করতে পারে সমাজবাদী পার্টি। এই সমীকরণে বহিষ্কৃত ১১ বিধায়ক নতুন দল গড়ে অখিলেশের সহযোগী হতে পারেন। এমনটাই জল্পনা রয়েছে।
বৈঠক শেষে বিধায়ক রামবীর জানান, শীঘ্রই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তবে ২০১৯ লোকসভা ভোটের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এগোতে চাইছে সমাজবাদী পার্টি। সেবার বুয়া-ভাতিজা অর্থাৎ সপা-বিএসপি-র জোট হলেও সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি সাধারণ নির্বাচনে। ভোটের কয়েক মাস পরেই সেই জোট ভেঙে যায়।