অনুমতি না পেলেও তিনি যাবেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাতেই কী নমনীয় হল যোগী প্রশাসন? শেষ পর্যন্ত রাহুল-প্রিয়াঙ্কা, কংগ্রেসী দুই মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট পাঁচজনকে লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার অনুমতি দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
ইতিমধ্যেই রাহুল এবং দুই কংগ্রেস শাসিত রাজদ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও চরণজিৎ সিং চান্নি লখনউয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখান থেকেই লখিমপুরে খেরায় নিহত কৃষকদের বাড়িতে যাবেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কথা বললেন নিগতদের শোকবিহ্বল পরিবারগুলির সঙ্গে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দলকেই লখিমপুরের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না।
গতকালই রাহুল জানিয়েছিলেন যে তিনি লখিমপুর যাবেন। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে রাহুলদের লখিমপুর যাওয়ার অনুমতির আর্জি জানানো হয়। কিন্তু, বুধবার সকালে তাঁকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। আইন-শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই যোগী সরকারের ওই পদক্ষেপ বলেজানানো হয়। এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এই কংগ্রেস সাংসদ। বলেন দেশে 'একনায়কতন্ত্র' চলছে। কৃষকদের উপর 'পরিকল্পিত আক্রমণ' হচ্ছে।
পরে বাঘেল ও চান্নিকেনিয়ে লখনউগামী বিমানে চড়েন রাহুল। জানান যে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় প্রয়োজনে তিন জনের প্রতিনিধি দলকে নিয়ে তিনি লখিমপুরে যাবেন। কিন্তু তিনি যাবেনই।
সরকারি অফিসাররা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিযেছেন যে, লখিমপুরের পরিস্থিতি আপতত নিয়ন্ত্রণে। সকালেই ১৮ বছর বয়সী নিহত কৃষক গুরবীন্দর সিংয়ের অন্তেষ্টি সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর পরিবারের দাবি ছিল, গুলিতে নিহত হয়েছেন গুরবিন্দর। ফলে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের দাবি জানান তারা। সেইমতই লখনউ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল লখিমপুরে গিয়ে ফের গপবীন্দরের দেহের ময়না তদন্ত করেন। মঙ্গলবারই বাকি তিন নিহত কৃষকের শেষ কৃত্য হয়েছিল। তবে, চারজনেরই ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও জানা যায়নি।
Read in English