Advertisment

মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা

জেডিইউ প্রধান নিতিশ কুমার এবং বিজেপি প্রধান অমিত শাহের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে গত অক্টোবরে ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দু'দলের মধ্যে সমান সংখ্যক আসন রফা হবে। ছোট জোট গুলোকে প্রার্থী সংখ্যা কমাতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

উপেন্দ্র কুশওয়াহা

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগের দিনই ইস্তফা দিলেন রাষ্ট্রীয় লোক সমতা দল প্রধান। একই সঙ্গে ঘোষণা করলেন এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার কথাও। সোমবার বিকেলে সংসদ ভবনে এনডিএ-র বৈঠকে অংশ গ্রহণ করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন কুশওয়াহা।

Advertisment

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা ইস্তফাপত্রে উপেন্দ্র কুশওয়াহা জানিয়েছেন সামাজিক ন্যায়ের প্রসঙ্গে অবহেলা করে আরএসএস-এর আদর্শ অনুসরণ করছে বিজেপি। "যে কারণে এনডিএ-কে সমর্থন করেছিলাম আমরা, তা থেকে সরে গিয়ে আরএসএস-এর অসাংবিধানিক নীতিতে বিশ্বাস রাখছে বিজেপি", চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রীয় লোক সমতা দলের নেতা। তিনি আরও জানিয়েছেন, "যে সরকার কথা দিয়ে কথা রাখে না, সংবিধানের জনককে অসম্মান করে, বিশ্বাসঘাতকতা করে, সে সরকারের অংশ হতে আমার বিবেকে বাধে"।

উপেন্দ্র কুশওয়াহার সঙ্গে এনডিএ-র সংঘাতের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল চলতি বছরের অক্টোবরেই। জেডিইউ প্রধান নিতিশ কুমার এবং বিজেপি প্রধান অমিত শাহের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে গত অক্টোবরে ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দু'দলের মধ্যে সমান সংখ্যক আসন রফা হবে। ছোট জোট গুলোকে প্রার্থী সংখ্যা কমাতে হবে।

মাস তিনেক আগেই উপেন্দ্র কুশওয়াহা বলেছিলেন, তাঁদের চাল আর যাদবদের দুধ মিলিয়ে যদি ক্ষীর রান্না করা যায়, স্বাদে জব্বর হবে তা। তাঁর এই মন্তব্য থেকেই রাজনৈতিক মহল ভালই আঁচ করেছিল এনডিএ জোটের ভেতরে ফাটল ধরেছে।

Read the full story in English

Advertisment