উত্তর প্রদেশে আজ সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় এলাকা বারাণসী-সহ রাজ্যের মোট ৫৪টি আসনে আজ নির্বাচন চলছে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। শেষ দফায় গোবলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ৬১৩ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ। আজমগড়, মৌ, জৌনপুর, গাজিপুর, চান্দৌলি, বারাণসী, মির্জাপুর, ভাদোহি এবং সোনভদ্র জেলায় ভোটগ্রহণ।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর প্রদেশের এই বিধানসভা নির্বাচনকে কার্যত সেমিফাইনাল ধরে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির। এবারও গোবলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে তাঁদেরই কর্তৃত্ব থাকবে বলে আশাবাদী মোদী-শাহ-নাড্ডারা। নির্বাচন পর্বে উত্তর প্রদেশ জুড়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন গেরুয়া দলের শীর্ষ নেতারা। রাজ্যের মানুষ এবারও তাঁর পাশে থাকবেন বলে আশাবাদী বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।
তবে বিরোদীদের দাবি, এবার লড়াইটা বিজেপির জন্য বেশ কঠিন হতে পারে। বিরোধীদের দাবি, 'যে জাতপাতের রাজনীতি করেই ভোট টানার কৌশল নিয়েছে বিজেপি, সেটাই এবার বুমেরাং হয়ে ফিরচে পারে পদ্ম শিবিরের জন্য'। তবে বিজেপি বিরোধীদের এই দাবিতে আমল দিতে নারাজ। বরং এবারও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই উত্তর প্রদেশে যোগী-রাজ ফিরবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
আরও পড়ুন- বিধ্বস্ত ইউক্রেন, দিল্লিতে রাশিয়ার সমর্থনে হিন্দু সেনার মিছিল
উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন এবার সাত দফায়। আজই শেষ তথা সপ্তম দফার নির্বাচন। প্রায় এক মাস ধরে দিল্লি লাগোয়া এই রাজ্যে চলছে নির্বাচন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট শুরু হয়েছে।
নির্বাচনের এই শেষ পর্বে উত্তর প্রদেশের ৫৪টি আসনের মধ্যে ১১টি কেন্দ্র তফসিলি জাতি এবং দুটি তপশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। এই পর্বে মোট ভোটার ২.০৬ কোটি। নির্বাচনের এই শেষ পর্বে জাতপাতের রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এক্ষেত্রে বিজেপিকে সমাজবাদী পার্টি-সহ ছোট একাধিক দলের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হতে পারে বলেও মনে করছে ওয়কিবহাল মহল।
Read story in English