ভোটমুখী উত্তর প্রদেশে এবার বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। দল ছাড়লেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর পি এন সিং। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তুঙ্গে। এদিন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে টুইট দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা।
বিধানসভা ভোটের মুখে গো-বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে জোর ধাক্কা কংগ্রেসে। দল ছাড়লেন ইউপিএ-টু জমানার মন্ত্রী আর পি এন সিং। তিনি এদিন টুইটে লিখেছেন, ''আজ, আমরা আমাদের মহান প্রজাতন্ত্র গঠনের উদযাপন করছি। আমি আমার রাজনৈতিক যাত্রায় একটি নতুন অধ্যায় শুরু করছি। জয় হিন্দ।'' কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে পদত্যাগপত্র লিখে টুইট করেছেন তিনি।
তবে নির্বাচনী বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, আর পি এন সিংয়ের রাজ্যস্তরে সেভাবে প্রভাব নেই। তাঁর প্রভাবের ক্ষেত্র কুশি নগর লোকসভা কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ, যেটি গোরক্ষপুরের পাশেই। ২০০৯ সালে কুশীনগর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তার আগে পাদ্রৌনা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনবার ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সিং। ওই কেন্দ্রটিও কুশীনগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে।
আরও পড়ুন- ‘শাসকের আইন বাংলায়, রাজ্যপাল হিসেবে উদ্বিগ্ন’, ধনকড়ের মন্তব্যের সমালোচনায় অধ্যক্ষ
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের একাংশের মতে, সিংয়ের কংগ্রেস-ত্যাগ প্রস্থান রাজনৈতিকভাবে হাত-শিবিরের কাছে বড়সড় ধাক্কা। কারণ, আর পি এন সিং কংগ্রেসের জেনারেশন নেক্সট নেতাদের মধ্যে অন্যতম। যদিও তাঁর বয়স ৫৭ বছর। আর পি এন সিং ওবিসি কুর্মি বর্ণের নেতা। কয়েক বছর আগে ঝাড়খণ্ডের এআইসিসি ইনচার্জ হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি দলে তাঁর পদোন্নতির সংকেত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
গত কয়েক বছরে কংগ্রেস ছেড়ে বহু নেতা-নেত্রীই অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া থেকে শুরু করে সুস্মিতা দেব, জিতিন প্রসাদ, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং ললিতেশপতি ত্রিপাঠিরা একে একে দল ছেড়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেসে থেকে রাজনৈতিক অবস্থান 'মজবুত' হচ্ছে না বুঝেই দলত্যাগের হিড়িক পড়েছে।