উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ পুলিশ প্রাথমিকভাবে গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ ও তার ছোটভাই খালিদ আজিম ওরফে আশরাফকে গুলি করে খুনের ঘটনায় আততায়ীদের শনাক্ত করেছে। ধৃতরা হল লাভলেশ তিওয়ারি, অরুণ মৌর্য ও সানি সিং। ধৃতরা যথাক্রমে বান্দা, কাসগঞ্জ ও হামিরপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে মতিলাল নেহরু জোনাল হাসপাতালের (কলভিন) গেটে আতিক ও আশরাফকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রয়াগরাজ পুলিশ তাদের সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। উমেশ পাল হত্যা মামলায় আতিক ও আশরাফ চার দিনের পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। দুই ভাই সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। টেলিভিশনে লাইভে ঘটনাটি ধরা পড়েছে। গুলি চালানোর পরই তাদের ধরে ফেলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
সূত্রের খবর, পুলিশ ধৃত তিনজনের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছে। তার মধ্যে সানি সিং হামিরপুরের কুরারা এলাকার বাসিন্দা। সানির বড় ভাই পিন্টু সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ১০ বছর ধরে সানির সঙ্গে তার পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। পিন্টু বলেন, 'ভাই ফৌজদারি মামলায় জড়িত থাকার কারণেই আমরা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।'
বান্দার লোমার গ্রামের বাসিন্দা লাভলেশ তিওয়ারির বাবা যজ্ঞকুমার তিওয়ারি একজন বেসরকারি গাড়ির চালক। লাভলেশ গত সাত বছর ধরে বান্দার কেভতারা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। বাড়ির মালিক রমেশ কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'লাভলেশকে কয়েক বছর আগে এক মহিলাকে হেনস্তা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরও গতকালের ঘটনায় লাভলেশ জড়িত জানতে পেরে আমরা বিস্মিত।'
আরও পড়ুন- আতিক আহমেদ হত্যা নিয়ে ‘মারাত্মক’ অভিযোগ মায়াবতীর, যোগীর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার
তিন নম্বর আততায়ী অরুণ মৌর্য কাসগঞ্জের বাঘেলা পুকতা গ্রামের বাসিন্দা। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট অরুণ। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরেই সে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অরুণ মাঝে মধ্যে বেড়াতে আসতেন। আর, দাবি করতেন যে তিনি নয়ডায় থাকেন।
গতকালের হত্যাকাণ্ডের পর, উত্তরপ্রদেশ সরকার সে রাজ্যের সমস্ত জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করেছেন। প্রয়াগরাজ জেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতালের আশপাশের দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।