রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মাত্র কয়েকমাস আগে এবার বড়সড় ধাক্কা উত্তরাখণ্ড বিজেপিতে। মন্ত্রীত্ব ও দল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরলেন ৬ বারের বিধায়ক ও রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী যশপাল আর্য। উত্তরাখণ্ডের দলিত নেতা যশপাল আর্যের ছেলে তথা বিধায়ক সঞ্জীব আর্যও যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে যশপাল আর্যের এই দলবদল উত্তরাখণ্ডের পুস্কর সিং ধামির সরকারের কাছে বড়সড় ধাক্কা।
উত্তরাখণ্ড সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন দলিত নেতা যশপাল আর্য। তবে এর আগে কংগ্রেসে ছিলেন যশপাল। উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি যশপাল আর্য। ২০১৭ সালে উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
সেই সময় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের হরিশ রাওয়াত। হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতানৈক্যের জেরে ২০১৭-এর বিধানসভা ভোটের আগে দল ছেড়েছিলেন যশপাল। তবে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছিল, যশপালের কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে মূল কারণ ছিল, ২০১৭-র ভোটে তাঁর ছেলেকে প্রার্থী না করা। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছিল বিজেপি। তড়িঘড়ি যশপাল-পুত্র সঞ্জীব আর্যকে নৈনিতাল আসন থেকে প্রার্থী করে বিজেপি। পরে সেই কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়কও হয়েছিলেন সঞ্জীব।
উল্টোদিকে, উত্তরাখণ্ডে কয়েক মাস আগেই পুস্কর সিং ধামিকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসায় বিজেপি। যা নিয়েই অসন্তুষ্ট ছিলেন যশপাল। এমনকী তারপর থেকে যশপালের দল ছাড়ার জল্পনা বাড়তে থাকে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে দলে ভাঙন রুখতে তৎপরতা নিয়েছিল গেরুয়া শিবিরও। দলের সিনিয়র নেতারা কথা বলেছিলেন যশপালের সঙ্গে। আলোচনার মাধ্যমেই দ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী হয়ছিলেন পদ্ম নেতারা। এমনকী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারাও রাজ্য নেতাদের যশপালের মান ভাঙাতে তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছিলেন বারবার।
সব মিলিয়ে যশপালকে দলে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি বিজেপি। পুস্কর সিং ধামির মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা নিয়েই যাবতীয় ক্ষোভ ছিল দলিত নেতা যশপাল আর্যের। সেই কারণে যশপালের মান ভঙানোর চেষ্টায় নামেন খোদ ধামিও। ২৫ সেপ্টেম্বর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি নিজে যশপাল আর্যের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যশপালের বাড়িতে গিয়ে সেদিন প্রাতঃরাশ সেরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি।
আরও পড়ুন- সীমান্ত দ্বন্দ্বে রফা অধরা, ভারত-চিন কমান্ডার-স্তরের বৈঠক ‘নিষ্ফলা’
তবে শত চেষ্টাতেও যশপাল আর্যের মতো সিনিয়র নেতাকে ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। উত্তরাখণ্ডে আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যশপাল আর্যের মতো দুঁদে রাজনীতিবিদের দলত্যাগ পদ্ম শিবিরের কাছে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন