প্রার্থী দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নয়, উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টিকেই সমর্থন করবে তৃণমূল। অখিলেশ যাদবের দূত কিরণময় নন্দকে মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিনদি বলয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিজেপি বিরোধী প্রচারেও সামিল হবেন 'দিদি'। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমোর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক ও প্রচার করবেন লখনউ ও মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মমতা লখনউতে যাচ্ছেন। সেদিন অখিলেশ যাদবের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী। বারাণসীতে হবে ভার্চুয়াল প্রচার। তবে তার দিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিজেপি বিরোধী লড়াই জোরদার করতে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে চাইছেন অখিলেশ। প্রচারে হাজির থাকার জন্য টিপুর তরফে থেকে আগেই সেই রাজ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আসে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের প্রস্তাবও। সেই প্রস্তাবে আগেই সায় দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু প্রচারে যোগীর রাজ্যে পাড়ি দেন কিনা, তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলের কৌতুহল ছিল।
সমাজবাদি পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের প্রতিনিধি কিরণময় নন্দ সেই প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত জানতেই এদিন মমতার কালীঘাটের বাড়িতে এসেছিলেন। বৈঠক শেষে বাংলার প্রাক্তন মৎসমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, কোভিডবিধি পালন করে উত্তরপ্রদেশে গিয়েই সমাজবাদী দলের হয়ে অখিলেশের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক ও ভার্চুয়াল প্রচার করবেন নেত্রী।
কেন প্রচারে মমতাকে আমন্ত্রণ? কিরণময় নন্দ বলেন, 'একুশে বাংলার ভোট বিজেপিকে পরাজিত করে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এসেছে। ফলে জাতীয়স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়এখন বিজেপি বিরোধী মুখ। তাই তিনি প্রচারে গেলে উত্তরপ্রদেশের মানুষ উদবুদ্ধ হবে।'
দেশের দুই প্রান্তের ভোটমুখী দুই রাজ্য গোয়া ও ত্রিপুরাতে ভোটে লড়াইয়ের ঘোষণা করেছে বাংলার শাসক দল। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী লড়াই লঘু করতেই মোজীর সঙ্গে আঁতাঁত করে মমতা গোয়ায় প্রার্থী দিচ্ছেন। তবে, উত্তরপ্রদেশে তেমন হচ্ছে না জেনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'যাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। গোয়ার মত বিজেপি বিরোধী শক্তি ক্ষয় করতে তিনি যে উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছেন না সেটা ভালো কথা।'
বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য প্রচারে মমতার উত্তরপ্রদেশ যাত্রা সমন্ধে বলেন, 'বেনারস নুতুন সাজে সেজেছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও সংলঙ্গ এলাকার আমূল সংস্কার হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তা দেখে আসলে ভালো লাগবে। আর রাতেরবেলায় লখনউয়ের চেহারাও অসাধারণ।'