বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরেই ব্রাত্য বরুণ গান্ধী। মোদী-শাহদের সর্বভারতীয় জমানা শুরুর পর থেকেই মানেকা-বরুণ গেরুয়া রাজনীতি থেকে যেন হারিয়ে গেছেন। দলের সঙ্গেও নৈতিক ইস্যুতে তাঁর বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন, যুবদের প্রতিবাদকে সমর্থন, মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সমর্থন। বারবার মোদী সরকারের শিল্পপতিমুখী নীতিকে যেন ধাক্কা দিয়েছে বরুণের চিন্তা-ভাবনা, বরুণের সমর্থন। কিন্তু, তারপরও বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের ব্যাপারে ভাবছেন না একসময়ের দাপুটে এই নেতা। ফের বছর ৪২-এর এই নেতা সংবাদ শিরোনামে।
তবে, সেজন্য অবশ্য বরুণের কোনও ভূমিকা নেই। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় তাঁর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র ফাঁকে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে বরুণের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। রাহুলের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর খুড়তুতো ভাই বরুণ যদি তাঁর পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য মেসেজ করে, তবে তিনি কী বলবেন?
এনিয়ে রাহুল বলেছেন যে কংগ্রেস এবং বরুণের মতাদর্শের মধ্যে কোনও মিল নেই। যে আরএসএসের আদর্শ বরুণ গ্রহণ করেছিলেন বলে মনে হয়েছিল তাঁর পক্ষে সেই আদর্শ গ্রহণ করাও 'অসম্ভব' ছিল। আর, বরুণ যদি সেটা গ্রহণও করতেন, তবে তিনি নিজেকেই সমস্যার মধ্যে ফেলতেন। তিন বারের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও। তাঁর ঘনিষ্ঠদের মতে, রাহুল যা বলার বলেছেন। রাহুলের বিবৃতি থেকে অন্য কোনও অর্থ খোঁজা অর্থহীন।
আরও পড়ুন- গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তথ্যচিত্র বিবিসির, ‘ঔপনিবেশিক মানসিকতা’, অভিযোগ বিদেশ মন্ত্রকের
এই প্রসঙ্গে বরুণের ঘনিষ্ঠ উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা বলেছেন, 'বরুণ যা বলেছেন, তাঁর কথা মুক্তমনে প্রকাশ করেছেন। সেই মতামতগুলোর কয়েকটি বিজেপির সঙ্গে খাপ খায় না। তার মানে এই নয় যে বরুণ কংগ্রেসে যোগ দিতে আগ্রহী। তিনি ভিন্নমত বেছে নিয়েছেন। তিনি যা সঠিক মনে করেন, তা বলেছেন। কিন্তু, তিনি প্রকাশ্যে কংগ্রেসের পক্ষে কোনও বিবৃতি দেননি। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাও বরুণ কোনওদিন প্রকাশ করেননি। বরুণ যা সমালোচনা করেছেন, সবটাই নীতির ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু, তিনি কোনও ব্যক্তিগত বা আদর্শগত সমালোচনা করেননি।'
Read full story in English