ঋণখেলাপি ইস্যুতে নিজের দলকেই একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা 'মুফত কি রেভদি' দেওয়ার রেওয়াজ তৈরি করে ফেলেছেন। সেই সূত্র ধরেই পালটা টুইট করেছেন বিজেপি সাংসদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ১০ লক্ষ কোটি ঋণ মকুব করেছে। কোন কোন সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারকে ঠকিয়ে এই ঋণ নিয়েছে। আর শোধ করেনি। সেই রকম ১০টি সংস্থার তালিকাও টুইটে প্রকাশ করেছেন বরুণ। যার মধ্যে রয়েছে মেহুল চোকসি এবং ঋষি আগরওয়ালের মত ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীদের সংস্থাও।
আরও পড়ুন- রামমন্দিরের প্রতিষ্ঠাদিবসে কেন কালো পোশাকে রাহুলরা, কারণ ফাঁস বিজেপির, অস্বীকার কংগ্রেসের
বরুণ টুইটে সংসদে এক বিজেপি সাংসদের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন। ওই বিজেপি সাংসদ সংসদের মধ্যে জানিয়েছেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের পর মোদী সরকার ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করেছেন। এই জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ধন্যবাদ এবং প্রশংসা প্রাপ্য। সেই প্রশ্ন তুলে পালটা সংসদে সরকারের বিবৃতিও টুইটে প্রকাশ করেছেন বরুণ। সেখানে সরকার স্বীকার করেছে, গত পাঁচ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে ১০টি ঋণখেলাপি সংস্থা। যা অনাদায়ী হওয়ায় সরকার সেই ঋণ মকুব করতে বাধ্য হয়েছে।
আর, এখানেই বরুণের প্রশ্ন, যে সংসদ আশা করে যে রেশনে পাঁচ কেজি শস্য পেয়ে একজন গরিব মানুষ মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানাবে। সেই সংসদ দুর্নীতিবাদ ব্যবসায়ীদেরকে 'মুফত কি রেভদি'র মত ১০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব প্রসঙ্গে কী বলবে? বরুণের দাবি, এটা আগে স্পষ্ট করা উচিত যে সরকারি কোষাগারের ওপর প্রথম অধিকার কার? গরিব জনগণ, না ঋণ না-দিয়ে বিদেশে গা ঢাকা দেওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের?
এর আগে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে যে মোদী সরকার দরিদ্র মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে না। এই সরকার সমাজের উচ্চবিত্তের প্রতিনিধি। বিশেষ করে শিল্পপতিদের প্রতিনিধি। কংগ্রেস বারবার অভিযোগ করেছে যে মোদী সরকারের সঙ্গে যোগসাজশেই দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা শোধ না-করে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে।
Read full story in English