'মিল্ক ম্যানে'র বিরুদ্ধে ধর্মান্তরকরণে আর্থিক সাহায্য করার অভিযোগ করে বিতর্ক বাঁধালেন গুজরাতের বিজেপি নেতা দিলীপ সংঘানি। ধর্মান্তরকরণের জন্য খ্রিস্টান মিশনারিজকে আমূলের টাকা দিয়েছিলেন প্রয়াত ড. ভার্গিশ কুরিয়েন,শনিবার আমূলের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমনই দাবি করলেন সে রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। দিলীপের এই মন্তব্য ঘিরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে।
শনিবার আমরেলিতে কুরিয়েনকে নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ''ত্রিভূবনদাস প্যাটেল আমূল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু ত্রিভূবনদাস প্যাটেলের সম্পর্কে কি দেশ জানে? কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে যে টাকা উপার্জন করেছিলেন গুজরাতের কৃষক ও গবাদি পশু পালকরা, সেই টাকা উনি (কুরিয়েন) ধর্মান্তরকরণের জন্য দক্ষিণ গুজরাতে দান করেছেন।''
আরও পড়ুন, অযোধ্যায় গিয়ে রামমন্দির নির্মাণের তারিখ জানতে চাইলেন শিবসেনা প্রধান
গেরুয়া শিবিরের এই নেতা আরও বলেন, ''কুরিয়েন যখন আমূলের প্রধান ছিলেন, তিনি খ্রিস্টান মিশনারিজকে অনুদান দিতেন। আমূলের রেকর্ডসেও সেইসব তথ্য রয়েছে।'' তাঁর আরও দাবি, ''আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম, তখন বিষয়টি আমার নজরে আসে। কিন্তু আমায় সে সময় চুপ করে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, এ নিয়ে মুখ খুললে কংগ্রেস এটাকে ইস্যু করত।'' উল্লেখ্য, ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সে রাজ্যের কৃষি ও প্রাণীসম্পদ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন দিলীপ। বর্তমানে তিনি গুজরাত স্টেট কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ আরও বলেন, ''আমার সময়ে এটা নিয়ে যা করার ছিল সব করেছি। শুধুমাত্র তখন আমরা এটা নিয়ে কিছু জানাইনি।''
দিলীপের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিদেশ সফর থেকে মেসেজ করে জানিয়েছেন গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর এস সোধি। উল্লেখ্য, 'মিল্ক ম্যান' নামেই পরিচিত কুরিয়েন। ১৯৯৯ সালে তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০১২ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। আগামী সোমবার কুরিয়েনের জন্মদিনে 'ন্যাশনাল মিল্ক ডে' উদযাপন উপলক্ষে মোটরসাইকেল মিছিলের আয়োজন করেছে আমূল। এর ঠিক আগেই কুরিয়েনকে নিয়ে এমন অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Read the full story in English