প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদের কণ্ঠে এবার মোদি স্তুতি। রবিবার জম্মুর এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে প্রাক্তন এই সাংসদ বলেন, 'মোদি কখনও নিজেকে লুকিয়ে রাখেন না।' একধাপ এগিয়ে তাঁর মন্তব্য, 'আমি গ্রামের ছেলে হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। মোদীজিও গ্রামের ছেলে, একসময় চা বেচতেন। আমাদের রাজনৈতিক পার্থক্য থাকতেই পারে কিন্তু নিজের পরিচয় কখনও লুকোন না প্রধানমন্ত্রী।'
সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে তাঁর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। সংসদীয় রাজনীতিতে ইতি টেনেছেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতি থেকে তিনি অবসর এখনও নেয়নি। এদিন এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন আজাদ। একবছর আগে নেতৃত্ব সংকটে 'বিদ্রোহ'ঘোষণা হয়েছিল কংগ্রেস। তৃণমূলের থেকে হাইকমান্ড পর্যন্ত ব্যাপক সংস্কার চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। কপিল সিব্বল-সহ গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ অন্য প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সেই চিঠিতে সই করেছিলেন।
এবার বছর ঘুরতেই আজাদের কণ্ঠে মোদি স্তুতি কী হাত ছেড়ে পদ্ম তোলার তাগিদ? এই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে।
এদিকে, আগেও বহুবার হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। শনিবার ফের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। দীর্ঘদিনের সতীর্থ গুলাম নবী আজাদের অবদান এবং শীর্ষ নেতৃত্বের অবহেলা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ। জম্মুতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের শান্তি সম্মেলনে সাফ জানালেন, দল আজাদের অভিজ্ঞতার মূল্য দেয়নি। নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ মজবুত করার লক্ষ্যে কংগ্রেসের জি-২৩ নেতাদের এই সম্মেলনে সিব্বলের খোঁচায় অস্বস্তি বেড়েছে হাইকমান্ডের।
সিব্বল এদিন বলেন, গুলাম নবী আজাদের মতো এত প্রবীণ এবং পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্তকে দল সম্মতি জানানোয় তিনি যারপরনাই অবাক হয়েছেন। কংগ্রেস তাঁর অভিজ্ঞতাকে আরও কেন কাজে লাগাতে চাইছে না, তা নিয়ে হতাশ সিব্বল। তিনি এদিন বলেছেন, “আজাদ এমন একজন নেতা যিনি বাস্তবের মাটিতে দলের কী অবস্থা প্রত্যেক রাজ্যে তা সবচেয়ে ভাল জানেন। আমরা খুবই ব্যথিত যখন জানলাম, তাঁকে সংসদীয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা কখনওই চাইনি উনি সংসদ থেকে চলে যান। বুঝতে পারছি না, দল কেন তাঁকে ব্যবহার করছে না? তাঁর এতদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে না?”