Advertisment

'ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে আপস, আব্বাসের সঙ্গে কী সমঝোতা?' অধীরের কৈফিয়ত তলব কেন্দ্রীয় নেতার

ঘটনাচক্রে রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে প্রদেশ নেতৃত্ব ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্তরে উপস্থিত ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল এবং ওয়ার্কিং কমিটির তরফে বাংলার পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ব্রিগেড সমাবেশের যে ছবি ঘিরে বেড়েছে বিতর্ক। ছবি: পার্থ পাল

 এখন ঘরে-বাইরে শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা অধীর চৌধুরীর। ব্রিগেড সমাবেশে বাম নেতৃবৃন্দের অত্যাধিক আব্বাস-প্রীতি চোখে পড়েছে  বিরোধীদের। কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার দলের নেতাকে খানিকটা ‘অপমান’ করেছে মহম্মদ সেলিম-সূর্যকান্ত মিশ্ররা। এমন রব তুলেছে কংগ্রেসের একটি অংশ। এই অবস্থায় এবার অধীর চৌধুরী থেকে কৈফিয়ত তলব করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। আব্বাসউদ্দিনের দলের সঙ্গে কী সমঝোতা করেছে প্রদেশ নেতৃত্ব? সেই সমঝোতার অনুমোদন কী হাইকমান্ড থেকে নেওয়া হয়েছে? ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে জাতীয় কংগ্রেস এবং প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান ভিন্ন কেন? এই প্রশ্নগুলোর জবাব চেয়ে এদিন ট্যুইট করেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ ওই কংগ্রেস নেতা।

Advertisment

তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘আইএসএফ বা সে ধরনের কোনও দলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা গান্ধীবাদ এবং নেহেরুবাদ ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী। কংগ্রেসের মৌলিক ভাব ও বিচারধারার সঙ্গে খাপ খায় না। এ ব্যাপারে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস বাছবিচার কোর্টে পারে না। সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে হবে কংগ্রেসকে। তাই ব্রিগেড সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি লজ্জাজনক। ওকে (অধীর চৌধুরী) জবাব দিতে হবে।‘

যদিও আনন্দ শরমার ট্যুইটকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘ও কার তামাক খাচ্ছেন? কেন ওকে জবাব দেব? আমি জা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদনে নিয়েছি। কিছু লোক দলে থেকে কংগ্রেসের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। মানুষ ওদের চিনে নিচ্ছে।‘

ঘটনাচক্রে রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে প্রদেশ নেতৃত্ব ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্তরে উপস্থিত ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল এবং ওয়ার্কিং কমিটির তরফে বাংলার পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ। তাই এই দুই নেতা আব্বাস সিদ্দিকির উপস্থিত নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। এটা হতেই পারে না। এমনটাই দাবি প্রদেশ নেতৃত্বের।   

CONGRESS adhir choudhury Abbasuddin Siddiqui
Advertisment