উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সোমবার বলেছেন যে বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় লোকেদের উচিত তাঁদের 'রাজনৈতিক চশমা' ফেলে যাওয়া। সাম্প্রতিক ব্রিটেন সফরের সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের জেরে এমন কথা জানিয়েছেন ধনখড়। বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি একথা বলেছেন। অনুষ্ঠান ধনখড় বলেন, ২০৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষ পালিত হবে। দেশের মর্যাদাকে আক্রমণ করার চেষ্টাকারী প্রতিটি প্রচেষ্টা তার মধ্যে নির্মূল করা উচিত।
ধনখড় বলেন, 'আপনি কি কখনও এই মহান গণতান্ত্রিক দেশের সফরে কোনও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বিদেশি নাগরিককে তাঁর জাতির নিন্দা বা সমালোচনা করতে দেখেছেন? উত্তর অত্যন্ত সুস্পষ্ট, 'না'। কেন আমরা আমাদের বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্য যোদ্ধাদের নিয়ে গর্ব করতে পারি না? আর, আমাদের উদ্ভাবনের প্রশংসা করতে পারি না? যখনই আমরা দেশের বাইরে যাই, আমাদের রাজনৈতিক চশমা পিছনে ফেলে যাওয়া উচিত। এটি দেশের পাশাপাশি ব্যক্তির জন্যও উপকারী হবে।'
উপরাষ্ট্রপতি তাঁর এই মন্তব্যটি ব্রিটেনে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে করেছেন। রাহুল ব্রিটেনে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ-সহ বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো ভারতে, 'গণতন্ত্রের এক বিরাট অংশ যে আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গিয়েছে', তা লক্ষ্য করেনি। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে। তাঁকে বিদেশের মাটিতে ভারতকে অপমান করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। একইসঙ্গে, এই মন্তব্য করার জন্য রাহুল গান্ধী যাতে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, সেই দাবিও করেছে। রাহুলের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক সংসদকেও উত্তাল করে তুলেছিল। যার ফলে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- ‘সেনা জানিয়েছে কোনও ভারতীয় ভূখণ্ড দখল হয়নি’, চিনকে কড়া বার্তা শাহর
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমাদের ঐতিহাসিক অর্জনে গর্বিত হতে হবে এবং গর্বিত ভারতীয় হতে হবে। সমস্ত বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন অনুসারে ভারত পঞ্চম-বৃহৎ বিশ্ব অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। দশকের শেষ নাগাদ এটি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এটি জনগণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। আর, আমরা যদি সুস্বাস্থ্যের আশ্বাস পাই, তবে কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না।'