প্রায় দু’বছর আগে নেওয়া মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, তা নিয়ে আজও তর্ক-বিতর্ক অব্যাহত। নোট বাতিলের জেরে আদৌ কালো টাকা ফিরেছে কিনা কিংবা কতটা কালো টাকা রোখা সম্ভব হয়েছে তা নিয়েও চর্চা অব্যাহত। বিরোধীরা আজও মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে না। এবার নোট বাতিল ইস্যু নিয়ে আবারও সরব হলেন মোদির মন্ত্রিসভার এক প্রাক্তন সদস্য। নোট বাতিলের জেরে ‘বাথরুম’ ও ‘বেডরুম’-এ লুকানো টাকাও ব্যাঙ্কে ফিরেছে বলে মন্তব্য করলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।
বৃহস্পতিবার উপরাষ্ট্রপতি নোট বাতিল ইস্যুতে বলেন, "যে টাকা বাথরুম ও বেডরুমে লুকোনো ছিল, তাও ব্যাঙ্কে ফেরানো হয়েছে। মোদ্দা কথা, টাকা ফেরানো সম্ভব হয়েছে। তবে এর মধ্যে কত কালো টাকা আর কত সাদা, সেটা দেখার দায়িত্ব আরবিআই ও আয়কর দফতরের।," আরবিআই অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে নাইডু বলেন, বাতিল পাঁচশো ও হাজারের নোটের ৯৯.৩ শতাংশ ব্যাঙ্কে ফেরানো হয়েছে। এত টাকা ব্যাঙ্কে ফেরায় তিনি যে খুশি, সেকথাও জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন, ফের পড়ল টাকার দাম, আবার নতুন রেকর্ড
জনধন যোজনার সমালোচনা প্রসঙ্গে এদিন উপরাষ্ট্রপতি বলেন, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, মানুষের হাতে যখন টাকাই নেই, তখন জনধন যোজনার কী মানে থাকতে পারে? ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর তাঁরা বোধহয় উপলব্ধি করেছেন যে, জনধনের কী গুরুত্ব। এমনকি, নোট বাতিলের সময় অনেকে তাঁদের গাড়ি চালক ও পিয়নকেও জিজ্ঞেস করেছেন, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে কিনা। আর এভাবেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত এসেছে। এটাই হল রহস্য। এধরনের সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট যে খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হবে, সেকথাও এদিন জোর গলায় বলেন উপরাষ্ট্রপতি।