"ভারত মুক্ত চিন্তার দেশ। যে কোনও সমস্যায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াই আমাদের ঐতিহ্য। গণতন্ত্র এবং বিতর্কের পরিবেশ আমাদের দেশের মূল্যবোধের মধ্যে নিহিত", বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো সম্মেলনের ১২৫ বছর উদযাপনে কোয়েম্বাটুরের রামকৃষ্ণ মঠ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সারা বিশ্বকে সহিষ্ণুতা এবং গ্রহণযোগ্যতার ধারণা শিখিয়েছে যে ধর্ম, আমি তার জন্য গর্ব বোধ করি"।
অনুষ্ঠানের মঞ্চেই মোদী মনে করালেন ১১ সেপ্টেম্বরের অন্য এক ভয়াবহ স্মৃতি। ২০০১ সালের মার্কিন মুলুকে জঙ্গি হানার ঘটনা। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন , "বিবেকানন্দ বলতেন সমাজের সব ক্ষেত্রেই শয়তানেরা কম বেশি থাকে। খুব সাবধানে পা ফেলে অশুভ শক্তি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে হয়। যে পরিস্থিতিই আসুক, নিজেদের মধ্যে ভাঙ্গন আনতে দেওয়া যাবে না। তাহলেই বাইরের শক্তি সেই ভাঙ্গনের সুযোগ নেবে"।
আরও পড়ুন, গুজরাত দাঙ্গার মামলা থেকে নজর ঘোরাল সুপ্রিম কোর্ট
"স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে আমাদের এক নতুন ভারত গড়ে তুলতে হবে। গরিব, লাঞ্ছিত, প্রান্তিক মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। দিন কয়েক আগেই এশিয়ান গেমস আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কে কোন পরিবার থেকে আসছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। শুধু পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসে ভর করেও দেশকে গর্বিত করা যায়।"।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "বিবেকানন্দের গভীর বিশ্বাস ছিল, তরুণ প্রজন্মই একটা দেশের ভবিষ্যৎ। তাঁর পথ অনুসরণ করে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার থেকে দেশের কর্ম সংস্কৃতিকে বদলানোর চেষ্টা চলছে। তরুণদের কাজের দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তার জন্য পৃথক মন্ত্রকের ব্যবস্থা করা হয়েছে"।