'বহিরাগত' তকমা ঝেড়ে বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করে বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের বড়, মেজ, সেজ নেতারার নিয়ম করে সভা-সমাবেশে বাঙালি মনীষীদের কথা তুলে ধরছেন। আর এতেই অস্বস্তি বাড়ছে। বাঙালি মনীষীদের নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নবদ্বীপে স্বামীজিকে‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। যা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার সংস্কৃতিতে 'অপমান' করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসক শিবিরের।
Advertisment
চৈতন্যদেবের আবাবেগ উস্কে নবদ্বীপ থেকে বিজেপির ‘পরিবর্তন রথযাত্রা’-র সূচনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তার আগে নবদ্বীপ চটির মাঠে জনসভা করেন। সেখানে একাধিক ইস্যুতে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতির অপমান করছে বলে তৃণমূল যে অভিযোগ তোলে, তারও উত্তর দেন নড্ডা। জানান, তাঁকে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে মমতা আদতে নিজের সংস্কৃতির পরিচয় দিয়েছেন। সেই রেশ ধরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক মনীষীর নাম নিতে থাকেন তিনি। তখনই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দিলীপ ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের উপস্থিতিতেই স্বামী বিবেকানন্দের পরিবর্তে ‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’ বলে বসেন জেপি নাড্ডা।
স্বাভাবিকভাবেই সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিবেকানন্দকে 'অপমান' করা হয়েছে এই দাবি করে নাড্ডার বক্তব্যের ওই অংশটি টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস। জোড়া-ফুল শিবিরেরে টুইটে উল্লেখ, "কখনও তারা দেশের জাতীয় সংগীত ভুল গেয়ে বসেন আবার কখনও স্বামীজিকে 'বিবেকানন্দ ঠাকুর' বলেন। পশ্চিমবঙ্গে এসে এভাবে স্বামীজিকে নাইবা অপমান করতে পারতেন @BJP4India-র শ্রী @JPNadda। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দেবে বাংলার সংস্কৃতির আসল রক্ষাকারী কে!"
এই প্রথম নয়। এর আগেও বাংলার মনীষীদের নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের নানা মন্তব্যে বিতর্ক হয়েছিল। বীরভূমে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে খোদ জেপি নাড্ডা বলেছিলেন 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান শান্তিনিকেতন'। যাকে ঘিরে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল। শহরের বুকে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপির 'সোনার বাংলা' গঠনের উদ্যোগ নিয়ে।
এখানেই শেষ নয়, প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার মনীষীদের অপমান করার অভিযোগ উঠেছে ভুরি ভুরি। লোকসভা ভোটের সময় কলকাতায় অমিত শাহের ব়্যালিকে কেন্দ্র করে বিধান সরণীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাঙা হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি। কাঠাগড়ায় তোলা হয় গেরুয়া দলটিকে। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৫তম জন্ম দিবসে ভিক্টোরিয়ায় সরকারি মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেতে উঠলে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেওয়া হয়। যা নেতাজিকে অপমান বলে সোচ্চায় হয় জোড়া-ফুল শিবির। গত রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা বিজেপির যোগদান মেলামঞ্চে দাঁড়িয়ে ভুল জাতীয় সংগীত গাওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'বিবেকানন্দ ঠাকুর', ফের নাড্ডার মন্তব্যে বিতর্ক, সোচ্চার তৃণমূল
এই প্রথম নয়। এর আগেও বাংলার মনীষীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নাড্ডা। বীরভূমে বলেছিলেন 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান শান্তিনিকেতন'।
Follow Us
'বহিরাগত' তকমা ঝেড়ে বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করে বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের বড়, মেজ, সেজ নেতারার নিয়ম করে সভা-সমাবেশে বাঙালি মনীষীদের কথা তুলে ধরছেন। আর এতেই অস্বস্তি বাড়ছে। বাঙালি মনীষীদের নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নবদ্বীপে স্বামীজিকে‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। যা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার সংস্কৃতিতে 'অপমান' করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসক শিবিরের।
চৈতন্যদেবের আবাবেগ উস্কে নবদ্বীপ থেকে বিজেপির ‘পরিবর্তন রথযাত্রা’-র সূচনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তার আগে নবদ্বীপ চটির মাঠে জনসভা করেন। সেখানে একাধিক ইস্যুতে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতির অপমান করছে বলে তৃণমূল যে অভিযোগ তোলে, তারও উত্তর দেন নড্ডা। জানান, তাঁকে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে মমতা আদতে নিজের সংস্কৃতির পরিচয় দিয়েছেন। সেই রেশ ধরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক মনীষীর নাম নিতে থাকেন তিনি। তখনই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দিলীপ ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের উপস্থিতিতেই স্বামী বিবেকানন্দের পরিবর্তে ‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’ বলে বসেন জেপি নাড্ডা।
স্বাভাবিকভাবেই সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিবেকানন্দকে 'অপমান' করা হয়েছে এই দাবি করে নাড্ডার বক্তব্যের ওই অংশটি টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস। জোড়া-ফুল শিবিরেরে টুইটে উল্লেখ, "কখনও তারা দেশের জাতীয় সংগীত ভুল গেয়ে বসেন আবার কখনও স্বামীজিকে 'বিবেকানন্দ ঠাকুর' বলেন। পশ্চিমবঙ্গে এসে এভাবে স্বামীজিকে নাইবা অপমান করতে পারতেন @BJP4India-র শ্রী @JPNadda। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দেবে বাংলার সংস্কৃতির আসল রক্ষাকারী কে!"
এই প্রথম নয়। এর আগেও বাংলার মনীষীদের নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের নানা মন্তব্যে বিতর্ক হয়েছিল। বীরভূমে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে খোদ জেপি নাড্ডা বলেছিলেন 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান শান্তিনিকেতন'। যাকে ঘিরে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল। শহরের বুকে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপির 'সোনার বাংলা' গঠনের উদ্যোগ নিয়ে।
এখানেই শেষ নয়, প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার মনীষীদের অপমান করার অভিযোগ উঠেছে ভুরি ভুরি। লোকসভা ভোটের সময় কলকাতায় অমিত শাহের ব়্যালিকে কেন্দ্র করে বিধান সরণীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাঙা হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি। কাঠাগড়ায় তোলা হয় গেরুয়া দলটিকে। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৫তম জন্ম দিবসে ভিক্টোরিয়ায় সরকারি মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেতে উঠলে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেওয়া হয়। যা নেতাজিকে অপমান বলে সোচ্চায় হয় জোড়া-ফুল শিবির। গত রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা বিজেপির যোগদান মেলামঞ্চে দাঁড়িয়ে ভুল জাতীয় সংগীত গাওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন