New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/mamata.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
পুরনিগম ও পুরসভা নিয়ে রাজ্যের ১২১ টির মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনও পর্যন্ত শুধু কলকাতা পুরনিগমের ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের সব মেয়াদউত্তীর্ণ পুরসভার ভোট করে দেওয়া হবে। উত্তরদিনাজপুরের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, দোল, হলি সহ নানা অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ দেখে ভোট করানো হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক বৈঠকে মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরের বিধায়কের কাছ থেকে ভোটের আগের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। জবাবে তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব মিত্র বলেন, 'দক্ষিণ দিনাজপুরের দু'টি পুরসভাতেই ভালো ফল হবে।' এর প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে সব পুরসভার ভোট করিয়ে দেব।'
এরপরই প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, দোল, হলি ও গঙ্গাসাগরের দিন জানতে চান। ওইসব বিবেচনা করেই ভোট হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরনিগম ও পুরসভা নিয়ে রাজ্যের ১২১ টির মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনও পর্যন্ত শুধু কলকাতা পুরনিগমের ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতায় ভোট হবে ১৯ ডিসেম্বর। হাওড়াতেও একই সঙ্গে ভোট করানোয় আগ্রহী ছিল নবান্ন। তবে, বালি পুর এলাকাকে হাওড়া পুরনিগম থেকে বাদ দিয়ে ভোট করানোর ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া থেকে বালি বিচ্ছিন্নকরণের বিলে এখনও সম্মতি সাক্ষর দেননি রাজ্যপাল। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
এদিকে, কেন কলকাতার সঙ্গে বাকি ১২০ পুরসভায় ভোট ঘোষণা হল না তা নিয়েও সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বিঁধছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। একই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। ইতিমধ্যেই বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন। সোমবারই শুনানিতে কমিশনের তরফে হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয় যে, বাকি পুরসভাগুলিতে মে মাসের মধ্যেই নির্বাচন করাতে আগ্রহী তারা। করোনাবিধি বজায় রাখতে ৬-৮ দফায় হবে ভোট। মঙ্গলবারও এই মামলার শুনানি ছিল। তবে এখনও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। এর মধ্যেই পুরভোট সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন