একুশের মহারণ জিতে ক্ষমতায় আসতে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বিজেপি। ঝড় তুলেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় ১৮টি জনসভায় হাইভোল্টেজ প্রচার সেরেছিলেন। কিন্তু রবিবার নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ পেতে দেখা গেল এর মধ্যে ১০টিতেই জিতেছে তৃণমূল। অর্থাৎ 'ভাঙা পায়ে' খেলে ১০-৮ গোলে জিতেছেন মমতা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেই সব আসন ও কী কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
চৌরঙ্গী
এখানে তৃণমূলের প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ৭০ হাজার ১০১ ভোটে বিজেপি প্রার্থী দেবদত্ত মাঝিকে পরাজিত করেছেন। এই কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "আসল পরিবর্তন হল বাংলায় বিজেপির মন্ত্র।"
জয়নগর
বিজেপির রবীন সর্দারকে হারিয়ে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৯৫২ ভোটে জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের বিশ্বনাথ দাস। এই কেন্দ্রে প্রচারে এসে মোদী বলেছিলেন, "এই এলাকায় আসল পরিবর্তন আসতে চলেছে সেটার সাক্ষী হতে চলেছি আমরা"।
উলুবেড়িয়া পূর্ব
তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ মুখ বিদেশ রঞ্জন বোস প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী প্রত্যুষ মন্ডলকে ৮৬ হাজার ৫২৬ ভোটে পরাজিত করেন। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, "মানুষ ঠিক করে নিয়েছেন। দিদি এবার চলে যাবেন।"
আরও পড়ুন, শুধু নির্বাচন নয়, ব্যক্তিত্বের লড়াইয়েও জিতলেন মমতাই!
হরিপাল
পদ্ম প্রার্থী সমীরণ মিত্রকে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়ে জিতেছেন করবী মান্না। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রচারে এসে মোদী বলেছিলেন, "বাংলায় ক্ষমতায় এসে বাংলাকে তোলাবাজিমুক্ত করব।"
সোনারপুর দক্ষিণ
বিজেপির তারকা প্রার্থী অঞ্জনা বসুকে ৯৬ হাজার ৮২২ ভোটে হারিয়ে জিতেছেন তৃণমূলের লাভলী মিত্র। প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "বাংলায় কেউ বহিরাগত নয়। যখন বিজেপি সরকার গঠন করবে ২ মে এরপর বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হবে বাংলার ভূমিপুত্র।"
মধ্য হাওড়া
এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ রায় ৯৬ হাজার ভোটে জয়ীও হয়েছেন। মোদী এখানে বলেছিলেন, “দিদির দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার‘এর বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার "ব্যবসায়ে স্বাচ্ছন্দ্য" এবং "জীবনযাপনের স্বাচ্ছন্দ্য" আনবে ”।
কৃষ্ণনগর দক্ষিণ
তৃণমূলের উজ্জ্বল বিশ্বাস জিতেছেন ৯১ হাজার ভোটে। প্রধানমন্ত্রী এই কেন্দ্রের প্রচারে এসে বলেছিলেন, "দিদি সব কিছু অতিক্রম করে চলেছেন। সংখ্যালঘুদের গালি দিয়ে গুন্ডাগিরি করে ভোট জেতার কৌশল নিয়েছে।"
বর্ধমান উত্তর
তৃণমূলের নিশিথ কুমার মালিক ১ লক্ষ ১১ হাজার ২১১ জয়লাভ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এইকেন্দ্রে বলেছিলেন "দিদির স্লোগানে মা অত্যাচারিত হচ্ছে, মাটি রক্তস্নাত মানুষের রক্তে।"
বারাসাত
অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী হারিয়েছেন বিজেপির শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়কে। মোদী এই কেন্দ্রে এসে বলেছিলেন, "যত রেজাল্টের দিন সামনে আসছে দিদির হতাশা বাড়ছে। সমাবেশে আমি ‘দিদি ও দিদি’ বলার পরেও তিনি এখন রেগে যান। বাংলার প্রতিটি শিশু "দিদি ও দিদি" বলতে শুরু করেছে।"
জামুরিয়া
তৃণমূল প্রার্থী বর্ধমান হরেরাম জেতেন ৭১ হাজার ভোটে। জনসভার প্রচারে নমো উবাচ ছিল, "দিদি মুখে বলেন মা-মাটি-মানুষ আর কাজে মাফিয়া রাজ চালাচ্ছেন।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন