এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে আলোচনায় ডাকলেন রাজ্যপাল জগীপ ধনকড়। রাজভবন ও সরকারের মধ্যে সহাবস্থান না থাকলে রাজ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা জগদীপ ধনকড়ের। সমস্যা মেটাতে তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চান রাজ্যপাল।
বিতর্কের মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি রাজ্যপালের। সেই চিঠির কথা টুইট করে জানিয়েছেন ধনকড়। রাজ্যপাল লিখেছেন, ''মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী সপ্তাহে যে কোনও সময়ে রাজভবনে আলোচনার জন্য আসতে অনুরোধ করছি। কারণ, বৈধ কিছু বিষয়ের দীর্ঘ সময় পরেও জবাব মিলছে না। ফলে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। আমরা উভয়েই সেটা এড়াতে আমাদের শপথ দ্বারা নির্ধারিত।''
রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক কর্তাদের মধ্যে কথোপকথন, আলোচনা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এটা সাংবিধানিক শাসনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ।''
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৭৪ এর ২/এ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকেই স্থগিত রয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। নির্দেশিকা জারি করে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত রাখার ঘটনা এর আগে ঘটেনি। ধনকড়ের এই ঘোষণায় রাজভবন-নবান্ন সংঘাত নয়া মাত্রা এনে দিয়েছে। বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্য।পালকে নিশানা করে সোচ্চার হয়েছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের এহেন পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। টুইটে স্ট্যালিন তুলোধনা করেছেন ধনকড়কে। পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি ধনকড়ও। অন্যদিকে, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লাগাতার সোচ্চার তৃণমূল। রাজ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি করতেই রাজ্যপাল এই পদক্ষেপ করেছেন বলে তোপ দেগেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- Exclusive: ‘ত্রিপুরাবাসীর পালস বুঝতে ব্যর্থ তৃণমূল’, বিস্ফোরক জোড়া-ফুলে আসা বিধায়ক
রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকায় আগেই তাঁকে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের একের পর এক টুইটে তিনি বিরক্ত বোধ করেই এই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত থাকায় রাজ্যে সাংবিধানিক সংটক তৈরির হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এবার সেই অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের। আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যা মেটাতে অনুরোধ ধনকড়ের। তবে রাজ্যপালের এই চিঠির পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি নবান্নের তরফে।
Read in English