আবারও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় রাজ্যপাল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের একটি মন্তব্য ঘিরে বেজায় ক্ষুব্ধ জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে রাজ্যপাল ফোন করেন কিনা তা জানতে চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যেরই সমালোচনায় সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
''কী উদ্বেগজনক দৃশ্য! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসা করছেন রাজ্যপাল কি আপনাকে ফোন করেছিলেন। এটি একটি গুরুতর বিষয়। নজর দেওয়া প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যজনক- পুলিশের মেরুদণ্ডে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর।'' টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের বৈঠকের ভিডিওটি আপলোড করেছেন রাজ্যপাল। আইএএস এবং আইপিএস অ্যাসোসিয়েশনকেও ট্যাগ করে টুইটটি করেছেন ধনকড়।
উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকরাও হাজির ছিলেন। বৈঠক চলাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, তাঁকে রাজ্যপাল ফোন করেন কিনা।
এমনকী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে তাঁর কাছে একাধিক অভিযোগ আসছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসপি-কে জানান। এরই পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের উদাহরণ তুলে ধরে এসপি-কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''ওকে দেখে শেখো''।
আরও পড়ুন- ‘রাজ্যপাল ফোন করেন?’, মমতার কড়া নজরে শুভেন্দুর জেলার পুলিশ সুপার
দিন কয়েক আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল তাঁকে এড়িয়ে রাজ্যের শীর্ষস্তরের আমলাদের ডেকে পাঠাচ্ছেন বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকী রাজ্যপালকে সরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই দিল্লিতে দরবার করা শুরু করেছেন তৃণমূলের সাংসদরা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জগদীপ ধনকড়ের জন্য তাঁর প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতেও অসুবিধা হচ্ছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক নিশানার পরেও ধনকড় কিন্তু স্ব-মেজাজেই রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করার রাস্তা থেকে তাঁর যে এখনই সরে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই তা তাঁর এই পরপর কয়েকটি টুইট থেকেই স্পষ্ট।