Advertisment

রাজভবনে বিধায়কদের বৈঠকের ডাক রাজ্যপালের, কেন?

আগামী ১৭ জানুয়ারি রাজভবনে বিধানসভার সব দলকে বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্যপাল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
wb governor jagdeep dhankhar, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, জগদীপ ধনকড়, mamata banerjee, mamata, মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা ব্যানার্জী, মমতা ব্যানার্জি, ধনখড়, ধনকর, jagdeep dhankhar, jagdeep dhankhar news, রাজ্যপাল মমতা চিঠি, মমতা রাজ্যপাল চিঠি, dhankar meeting, bjp, tmc, sc st bill, lynching bill, বৈঠক ডাকলেন ধনকড়, রাজ্যপালের বৈঠক, এসসি এসটি বিব, গণপিটুনি বিল

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহে বিধানসভার সব দলকে নিয়ে বৈঠকে বসার ডাক দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের ২টি বিল নিয়ে তথ্য জানতে চেয়ে আগামী ১৭ জানুয়ারি রাজভবনে বিধানসভার সব দলকে বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্যপাল। একথা সোমবার টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এসসি-এসটি বিল ও গণপিটুনি সংক্রান্ত দুই বিল সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে এই বৈঠক বলে টুইটারে জানিয়েছেন ধনকড়।

Advertisment

টুইটারে ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল?

জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিশন এসসি-এসটি বিল নিয়ে জানতে আগামী ১৭ জানুয়ারি রাজভবনে দুপুর ২টোয় বিধানসভার সব দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি’’। এর কারণ হিসেবে ধনকড় লিখেছেন, ‘‘একদিকে বিল দুটি নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, বিধানসভা ও রাজ্য সরকারের তরফে অসমর্থনযোগ্য তথ্য জনসমক্ষে দেওয়া হচ্ছে’’।

আরও পড়ুন: দিলীপের পাশে নেই বাবুল, চরম বিতর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি

13, 2020

13, 2020

আরও পড়ুন: নাম বদল বিতর্কে মোদী-মমতাকে এক সূত্রে গাঁথলেন সেলিম-সোমেন, প্রশ্ন তুললেন অভিষেকও

 

রাজ্যপালের বৈঠক প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘‘গণপিটুনি বিল নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। দেখা যায় বৈঠকে কী হয়’’। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল তো টুইট করেই যাচ্ছেন। উনি টুইট করুন, আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যপালকে খেয়াল রাখতে হবে, সব বিষয়ে মানুষের বিরক্তির কারণ যেন না হন উনি। রাজ্যপালের নিশ্চয়ই তথ্য পাওয়া উচিত। তথ্য না পেলে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। রাজ্য সরকার যে তথ্য রাখে না, সেটা রাজ্যের মানুষই জানে। কিন্তু তথ্য পাওয়ার জন্য সর্বদলীয় সভা ডাকা শুনিনি। ১৭ তারিখ কলকাতায় থাকব না’’। এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বৈঠক ডাকাটা ওঁর দায়িত্ব। যে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে বাংলায়, তাতে মানুষের কাছে সঠিক তথ্য যাওয়া উচিত। কে সহযোগিতা করবে আর কে করবে না, সেটা তাদের ব্যাপার’’। বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ভাল, ততই লোকটা সুস্থ থাকবে। উনি কে ডেকে পাঠাচ্ছেন। কোথায় আমাকে তো ডাকেনি। বিজেপিকে ডাকবে। রাজভবন তো এখন বিজেপির পার্টি অফিস’’।

উল্লেখ্য, ‘রাজ্যপাল বিলে সই করছেন না’, এই অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে বিধানসভার অধিবেশন নজিরবিহীনভাবে দু’দিনের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপাল সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছোয়।

West Bengal
Advertisment