পুলিশ পর্যবেক্ষক ও জেলার পুলিশ আধিকারিকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছিলেন, কমিশন কোথায় কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা নিয়ে পুলিশ পর্যবেক্ষক ও জেলার পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে কী কথোপকথন হচ্ছে তাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার সেই বিস্ফোরক অভিযোগের জবাব দিল নির্বাচন কমিশন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিশনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর।
কমিশন জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরের ভার্চুয়াল সভায় যে অভিযোগ করেছিলেন তা অসত্য। মমতা বলেছিলেন, বেছে বেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের গুন্ডা আখ্যা দিয়ে গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে পুলিশ পর্যবেক্ষকদের তরফে। কমিশন এ ধরনের কোনও নির্দেশ দেয়নি বলেই দাবি দিল্লির সদর দফতরের আধিকারিকদের। আরও বলা হয়েছে, বাংলায় ভোট শান্তিপূর্ণ করানোর লক্ষ্যে এবং অশান্তি রুখতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তাই নিয়েছে কমিশন। যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতেই কাউকে গ্রেফতার কিংবা কারও বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার নির্বাচনের আবহে তৃণমূল কর্মীদের অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী। পুলিশ পর্যবেক্ষকরাও বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে বলে অভিযোগ তাঁর। এদিন মঞ্চ থেকেই একাধিক কাগজ দেখান মমতা। দাবি করেন, ওই কাগজে পুলিশ পর্যবেক্ষকরা অনৈতিক ও আইন বহির্ভূতভাবে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের নির্দেশ দিচ্ছেন। ওই কথোপকথনে তৃণমূল কর্মীদের ‘দুষ্কৃতী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তিনি বলেন, ‘কমিশন ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে আমাদের দলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করে নিতে। আমার কাছে সব কিছুর হোয়াটসঅ্যাপ আছে।’ এরপরই শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আমরা ২০১৬ সালেও সহ্য করেছি। এবারও দেখছি। এই ভোট হয়ে যাওয়ার পর আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাব। কমিশন যাতে নিরপেক্ষভাবে ভোট করায়, তার আবেদন জানাব।’