শীতলকুচি-কাণ্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে। চতুর্থ দফার ভোটের দিন শনিবার রক্তাক্ত হয়েছে কোচবিহারের এই কেন্দ্রের একটি বুথ। চারজন ভোটারকে গুলি করে মেরেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই তীব্র প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল। এদিনই উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবারই নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। এদিন বিকেলে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিশন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জ, বনগাঁ এবং নৈহাটির নির্বাচনী সভা থেকে কমিশন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন। এবার শিলিগুড়িতেও একইভাবে রণংদেহী মূর্তি ধারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শীতলকুচির ঘটনায় 'গণহত্যা'র অভিযোগ তুলে ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হন মমতা।
এদিন সাফ বলেন, "ওরা বলছে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে। মিথ্যে কথা। আসলে রাজনৈতিক নির্দেশেই এসব হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যে অঘোষিত ৩৫৬ ধারা (রাষ্ট্রপতি শাসন) চলছে। যদি আক্রমণ হয়েই থাকে, প্ররোচনা দেওয়া হয় তবে প্ররোচনার ছবি কই?এত মিডিয়া ছিল ওখানে কেউ কোনও ফুটেজ পেল না? আজকের ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উনি একজন কনস্পিরেটর। উনি রোজই চক্রান্ত করছেন।"