চতুর্থ দফার ভোটেও রক্তাক্ত হল বাংলা। কোচবিহারের শীতলকুচিতে শনিবার সকালে এক জন তরুণ ভোটারের মৃত্যু, তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যুতে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হিঙ্গলগঞ্জের নির্বাচনী সভা থেকে কমিশনকে তোপ দেগে বলেন, "কয়েক জন নিরস্ত্র-নিরীহ মানুষকে গুলি করে খুন করল সিআইএসএফ। আর বলছে কি না সেলফ ডিফেন্স! লজ্জা করে না, ছি ছি!!!"
এদিন হিঙ্গলগঞ্জে জনতার উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, "এদিন সিআরপিএফ গুলি চালিয়ে চারজন মানুষকে মেরে দিয়েছে শীতলকুচিতে। আমি বারবার বসে আসছি, সিআরপিএফ আমার শত্রু নয়। কিন্তু হোম মিনিস্টারের কথায় যে চক্রান্ত চলছে, আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। লাইন দাঁড়ানো চারজন ভোটারকে গুলি করে মেরে দিয়েছে। এত ঔদ্ধত্য আসে কোথা থেকে, এত অত্যাচার আসে কোথা থেকে। বিজেপি জানে ওরা হেরে গিয়েছে, তাই ভোটারদের গুলি করে মারছে, কর্মীদের গুলি করে মারছে। লজ্জাও করে না! আমি তবু মানুষকে বলব শান্ত থেকে ভোট নির্বিঘ্নে পালন করুন, কোনও অশান্তিতে যাবেন না।"
তিনি আরও বলেন, "মনে রাখবেন যারা অশান্তি করে তারা রাক্ষসের দল, আর যারা শান্তিরক্ষা করে তারা মানুষের দল। মানুষের দলকে মানবিকতা দিয়ে রক্ষা করতে হবে। কী অন্যায় করেছিল ওরা, তুমি চাও বিজেপি ভোটে জিতুক? তুমি কে? মানুষ ঠিক করবে তারা কাকে ভোটে দেবে না দেবে।" এরপরই অমিত শাহের বিরুদ্ধে এজেন্সি দিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ আনেন তিনি। বলেন, "এর বদলা নিতে হবে, এর বদলা একটা করে ভোট ভোটের বাক্সে, নাহলে ওদের আত্মার শান্তি হবে না।"
এদিন, কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকেও একহাত নেন মমতা। বলেন, "রিটায়ার্ডের অজুহাত দিয়ে সুরজিৎ পুরকায়স্থকে সরিয়ে দিল, আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অশোক চক্রবর্তীকেও সরিয়ে দিল। এদিকে রিটায়ার্ড লোক বিবেক দুবে কী করে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন, কমিশনকে প্রশ্ন করছি, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রশ্ন করা। কী ভাবে রিটায়ার্ড লোক কমিশন ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন? আমার দলেরই ১২ জন নেতা খুন হয়েছেন। প্রায় ১৭-১৮ জন খুন হয়ে গেল, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এত খুন হয়নি। এত তো নিন্দা করেছেন! লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের।"