NDA Government: কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে ঠান্ডা লড়াই বিজেপি এবং জেডিইউয়ের মধ্যে। ইতিমধ্যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নাম প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে হাওয়ায় ভাসিয়েছে জেডিইউ। এবার সেই দাবি ঘিরে কিছুটা নরম সুর জেডিইউ।
দলের সংসদীয় কমিটির নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা জানান, 'এখনই প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে দলের কোনো ভাবনা-চিন্তা নেই। তবে ভবিষ্যতে তেমন উদ্যোগ নেওয়া হলে সংখ্যা পেতে অসুবিধা হবে না।' এদিকে, একদিকে জোট বাঁধার চেষ্টায় দেশের বিরোধী দলগুলো। অন্যদিকে গেরুয়া জোটের অন্দরেই কৌশলে বেসুরো শরিক। প্রকাশ্যে পাত্তা না দিলেও পদ্ম নেতৃত্বের কপালে বাড়ছে চিন্তার ভাঁজ।
নজরে ২০২৪। ইতিমধ্যেই জোট গড়ে মোদী সরকারকে উৎখাতে উদ্যোগী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বাদল অধিবেশনে সংসদের অন্দরের সরকার বিরোধীতায় বিরোধী ঐক্যের ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তার বাইরেও রণকৌশল নির্ধারণে বৈঠকে বসেছেন বিরোধী নেতৃত্বরা। বিরোধী জোটই বিজেপিকে সরাতে একমাত্র বিকল্প বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। অবশ্যই জোটের সলতে পাকাতে কাঠবিড়ালির ভূমিকায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সব ধরণের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ ভুলে দেশ বাঁচানোর ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এরই মধ্যে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে বিরোধী জোটের মুখ কে? যদিও ইতিমধ্যেই এর জবাব দিয়েছেন মমতা। সাফ জানিয়েছেন, আগে লক্ষ্য স্থির করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই, পরে নেতৃত্বের মুখ নির্ধারণ করা হবে। তিনি নিজে যে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই বিরোধী জোটের নেতাদের সেই বার্তাও দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের তরফে ‘দেশের পরবর্তী বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই’ বলে প্রচার চলেছে। জোড়া-ফুলে কার্যত চাপ বাড়িয়ে দলনেত্রীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রস্তুত করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অপরদিকে, এরই মধ্যে দেশের আরও একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও দেশ শাসনের যোগ্য বলে তুলে ধরতে চাইছে খোদ এনডিএ-র শরিক দল। কেন্দ্রের বিজেপিকে চাপে ফেলতেই নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর এই প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে।