বিজেপিকে টেক্কা কংগ্রেসের! দক্ষিণের রাজ্যে পালাদবল। বেলা যত গড়িয়েছে ততই ছবিটা স্পষ্ট হয়েছে। হাত শিবিরের তাণ্ডবে কার্যত দিশেহারা অবস্থা বিজেপির। অবশেষে বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরাজয় স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই। ঢাক-ঢোল নিয়ে সেলিব্রেশনে মাতলেন কংগ্রেস কর্মীরা। উৎসবের মেজাযে গা ভাসাতে রাজ্যজুড়েই কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় নেমেছে। এর মাঝেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দলের এই জয়কে মানুষের জয় বলে আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে বিভাজনের রাজনীতিতে রাজ্যে বিজেপির এই হার কে মোদীর ভরাডুবি বলেই এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছে কংগ্রেস।
রাজ্যে কংগ্রেসের জয়ের ছবি স্পষ্ট হতেই আগামীকাল সকালে বেঙ্গালুরুতে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস, ইতিমধ্যে দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে ২২৪টি বিধান সভা আসনের মধ্যে ১৩২ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ট্রেন্ড অনুযায়ী তড়তড়িয়ে এগোচ্ছে কংগ্রেস। কার্যত ম্যাজিক ফিগারে সিলমোহর পড়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কর্ণাটক বিধান সভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর মোদীর শত চেষ্টার পরেই আমরা মানুষের আবেগ ছুঁতে পারিনি, চূড়ান্ত ফলাফল আসার পরে আমরা তা বিশদে বিশ্লেষণ করব। জাতীয় দল হিসেবে আমরা শুধু বিশ্লেষণই করব না, বিভিন্ন স্তরে কী কী ঘাটতি ও ফাঁক রয়ে গেছে তা নিয়েও পর্যালোচনা করা হবে”।
পরিবর্তনের ইঙ্গিত সামনে আসতেই তেড়েফুঁড়ে আসরে নেমেছে কংগ্রেস। রাজ্য জয়ের মধ্য দিয়েই ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের লড়াইকে আরও জোরদার করতে মরিয়া কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে এক ট্যুইট বার্তায় লেখা হয়েছে "হ্যাঁ, আমি আজ অপ্রতিরোধ্য!" কর্ণাটকে কংগ্রেসের ফের উত্থানের পর কংগ্রেসের তরফে বিজেপির এই হারকে মোদীর পরাজয় বলে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। সকাল ৮টা থেকে কর্ণাটকের ৩৬টি কেন্দ্রজুড়ে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। কর্ণাটক নির্বাচন মিটতেই বুথ ফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছিল বদলের ইঙ্গিত। গণনার প্রাথমিক প্রবণতা অনুসারে দেখা যাচ্ছে পদ্মশিবিরকে পিছিনে ফেলে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় কংগ্রেস নেতা যথিন্দ্র সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে কর্ণাটকে সরকার গঠন করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা নিজেরাই সরকার গড়ব’। তিনি আরও বলেন, বাবা তথা দলের প্রবীণ নেতা সিদ্দারামাইয়া হতে চলেছেন কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩, ২০১৮ সালের নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল ছিল বিজেপি৷ যদিও সরকার গড়েছিল কংগ্রেস-জেডিএস জোট৷ পরে সেই জোটে ফাটল ধরিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় গেরুয়া শিবির৷