এরাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র সিংকে এই মর্মে চিঠি দিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি শমীক লাহিড়ি।
চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, গতকাল রবিবার রাত ১২টা নাগাদ বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবু দাসের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই । "এদিন সকালেই তৃণমূল প্রার্থী অমিত মণ্ডল এবং তাঁর সঙ্গী শিবপ্রসাদ মণ্ডল, চন্দন গিরি, গোকুল জানা সহ আরও কয়েকজন তৃণমূলের গুন্ডারা নামখানা ব্লকের বাসিন্দা দেবু দাসকে শাসিয়েছিলেন। তাঁদের শাসানিতে কাজ না হওয়াতেই ওই দুজনকে পুড়িয়ে মারা হয়," অভিযোগ করেছেন শমীক।
চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, "আমরা জানিনা আর কতগুলি মৃত্যু ঘটলে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় নির্বাচন কমিশন বিশ্বাস করবেন এরাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন।"
"জেলার প্রতিটি অঞ্চলে ক্রমাগত বোমাবাজি চলছে। একদল সশস্ত্র গুণ্ডা রাজ্য পুলিশের সক্রিয় অথবা গোপন সমর্থনে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে, তবুও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নির্বাচনী আধিকারিকরা এ নিয়ে চোখ বুঁজে রয়েছেন।"
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত ভোট LIVE: কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ চলছে গ্রাম বাংলায়, ৪ জেলায় অশান্তি!
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে শমীক লাহিড়ি নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন যাতে এ বিষয়ে জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এবছর পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’ আটকাতে ‘মতাদর্শ শিকেয় তুলে’ বাম ও দক্ষিণপন্থীরা একজোট হয়েছে। চিরশত্রু বিজেপি ও সিপিএম এবং কোনও কোনও জায়গায় কংগ্রেসও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসন বোঝাপড়ার রাস্তা বেছে নিয়েছে। চলছে যৌথ প্রতিবাদ মিছিলও। তবে এসবই চলছে অলিখিত ভাবে।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতঃ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের অলিখিত জোট