Advertisment

বিধানসভায় কার্যবিবরণী থেকে বাদ জয় শ্রীরাম-জয়হিন্দ

উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেভাবে জয় শ্রীরাম ও জয় হিন্দ নিয়ে বিধানসভা সরগরম হলো, আগামী বাদল অধিবেশনেও তার প্রভাব পড়তে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Pakistan Conversion

সংসদ

লোকসভার পর এবার রাজ্য় বিধানসভা। যদিও এখানে স্পিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন। কিন্তু উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেভাবে জয় শ্রীরাম ও জয় হিন্দ নিয়ে সরগরম হলো বিধানসভা,  আগামী বাদল অধিবেশনেও তার প্রভাব পড়তে পারে।

Advertisment

লোকসভায় জয় শ্রীরাম ও জয় হিন্দ ধ্বনি লাইভ সম্প্রচারের দৌলতে সারা দেশ প্রত্যক্ষ করেছে। শপথ নিতে গিয়ে এই শব্দবন্ধ উচ্চারণ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই তর্ক-বিতর্ককে রাজনীতির কারবারিরা যে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ, তার প্রমান দিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। বুধবার বিধানসভায় উপনির্বাচনে জয়ী আট বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই চলে স্লোগান, পাল্টা স্লোগান।

এদিন শপথ নেওয়ার সময় মালদার হাবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়াল মুর্মু জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন। অধ্য়ক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। আর কেউ যাতে এই ধরনের স্লোগান না দেন তার নিদান দেন অধ্যক্ষ। কে শোনে কার কথা! একেবারে শেষে শপথ নিতে যান উলুবেড়িয়া পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। জয়হিন্দ বলে তিনি স্লোগান দেন। কড়া হাতে এই ঘটনার মোকাবিলা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশ দেন, ওই দুটি ধ্বনিই বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিতে হবে।

বিগত কিছুদিন যাবত বাংলার রাজনীতি তোলপাড় করে দিয়েছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথেও এই স্লোগান তুলেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যে এমন দুটি ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয় শ্রীরামের পাল্টা হিসাবে জয়হিন্দ ও জয়বাংলা স্লোগান দিতে নির্দেশ দেন দলের কর্মী-সমর্থকদের। মঙ্গলবার দিল্লিতে লোকসভায় স্লোগান, পাল্টা স্লোগান চলেছে। এবার সেই দৃশ্য দেখল রাজ্য বিধানসভা। পার্থক্য় একটাই, রাজ্যে অধ্যক্ষের কড়া পদক্ষেপ, এবং জাতীয় স্তরে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের অভাব।

bjp All India Trinamool Congress
Advertisment