বাংলায় ‘সাম্প্রদায়িকতার উত্থান’ নিয়ে কমন খসড়া তৈরির প্রস্তাবে একমত হল না তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস। এ ইস্যুতে বিধানসভায় আলাদা করে খসড়া প্রস্তাব আনবে সিপিএম-কংগ্রেস। অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে তৃণমূলও ১৮৫ ধারায় পৃথক প্রস্তাব আনবে। সাম্প্রদায়িকতার উত্থানে রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোয় যে আঘাত হানা হচ্ছে, এ ব্যাপারে অবশ্য তিন দলই ঐক্যমত পোষণ করেছে।
পৃথক খসড়া প্রস্তাব আনার বিষয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান নিয়ে আমরা বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলাম। আমাদের মতে, এ ইস্যুতে সকলকে একসঙ্গে বিরোধিতা করার এটাই উপযুক্ত সময়। যদিও সিপিএম ও কংগ্রেস প্রস্তাব আনার ব্যাপারে সহমত। তবে খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তাই পৃথক খসড়া আনব আমরা’’।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় ‘ঐকমত্য’, বিজেপিকে রুখতে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তৃণমূল?
এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘আমরা চাই, বিজেপির উত্থানের নেপথ্য কারণ নিয়ে আলোচনা হোক। ২০১১ সালে বিজেপির ভোট শেয়ার ছিল মাত্র ৫-৬ শতাংশ। ৮ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪০.৫ শতাংশ। এজন্য কে দায়ী? এটা তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল, যে বিরোধীদের ধুয়ে মুছে সাফ করে দেব। সেজন্যই বাংলায় বিজেপি জায়গা করে নিয়েছে’’। মান্নান আরও জানান, কংগ্রেস ও সিপিএম এ নিয়ে পৃথক প্রস্তাব আনবে। মান্নানের সুরেই সুর মিলিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবে তারা বিরোধিতা জানাবে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ‘বড় উত্থান’ ঘটেছে। এরপরই বিজেপির ‘বাড়বাড়ন্ত’ রুখতে কার্যত উঠেপড়ে লেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপেকি রুখতে ক’দিন আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাম-কংগ্রেসকে একসঙ্গে লড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ নাকচ করে দেয় বাম-কংগ্রেস।
Read the full story in English