/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/caa-news-759.jpg)
সিএএ প্রতিবাদ।
এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল কংগ্রেস ও বামেরা। তখন আলোচনা চাননি মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই বিষয়ে প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ বঙ্গ বিজেপি। অন্যদিকে মুখে বললেও আদৌ তা কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে সিপিএম। কংগ্রেসের বক্তব্য, নিজের কৃতিত্ব জাহির করতেই এমন পদক্ষেপ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এ রাজ্যে কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল কংগ্রেস পথে নেমেছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার অনুমতিও পায়নি বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ বিষয়ে তারা আগেও ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে। তৃণমূল পৃথকভাবে আন্দোলন করছে। এরই মধ্যে রাজভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। এমন আবহেই বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: মমতার বড় পদক্ষেপ, সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আসছে বঙ্গ বিধানসভায়
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা পি চিদাম্বরম পার্কসার্কাসে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে গিয়ে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। তাছাড়া প্রায় প্রতিদিন নানা কর্মসূচি নিচ্ছে রাজ্য কংগ্রেস। দলের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, "এই প্রস্তাব তো কংগ্রেস ও বামেরা অনেক আগেই দিয়েছে। সেদিন তিনি গ্রহণ করেননি। কেন আজ বলছেন সেটা উনি বলতে পারবেন। সব ক্ষেত্রেই উনি নিজের কৃতিত্বটাকে আগে জাহির করতে চান। এছাড়া আর কী হতে পারে।"
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি বাম ও কংগ্রেস বিধানসভায় প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "বিলম্বিত বোধদয় সব সময় ভাল হয় না। জল ঘোলা না করে অনেকে খেতে পারে না। তবে মুখের কথার কোনও মূল্য নেই। সকালে যা বলবে বিকেলে উল্টো কথা বলবে। তিনি আজ বলবেন, আর কাল কী করবেন তা বলা যায় না। ওঁর কথায় কোনও বিশ্বাস নেই।"
তবে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "এই প্রস্তাবের কী মূল্য আছে? আমি বাড়িতে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম অজয় দেবগণ ও কাজলের বিয়েটা আমি মানি না। এর কোনও মানে আছে! আজব ব্যাপার। যে যা খুশি করুক, এরা সব হিন্দু উদ্বাস্তু বাঙালী বিরোধী দল।"