"বাংলাকে কোনওভাবেই গুজরাট বানাতে দেব না", জোর দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী বাংলায় যে কোনও রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক মঞ্চে এখন এটাই বিজেপির প্রতি মমতার হুঁশিয়ারি। বুধবার 'সফল' লালবাজার অভিযানের পর এবার এ রাজ্যকে গুজরাট বানানোর চ্যালেঞ্জই গ্রহণ করলেন প্রত্যয়ী দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, "এ রাজ্যে বিজেপি জয় পেলে বাংলাকে গুজরাট বানাবই।" একইসঙ্গে দিলীপের হুমকি, সরকার ও পুলিশ সংযত না হলে পরবর্তীকালে আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে না।
মঙ্গলবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে সর্বশেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাকে কিছুতেই গুজরাট বানাতে দেব না। বাংলার সংস্কৃতি অক্ষুন্ন রাখতে হবে। এদিন দলের রাজ্য দফতরে দিলীপ ঘোষ পাল্টা তোপ দেগেছেন মমতার বিরুদ্ধে। এদিন তিনি বলেন, "দিলীপ ঘোষ চ্যালেঞ্জ করছে, যদি আমরা জয় পাই, তাহলে বাংলাকে গুজরাটই বানাব। মমতার হিম্মত নেই আটকানোর। পশ্চিমবাংলার মানুষ গুজরাটে চাকরি করতে যান, যেহেতু এই রাজ্যে শিল্প-কারখানা নেই। আমরা সেটা চাই না। এখানে কারখানা হবে। বাংলা গুজরাট হবেই। এই রাজ্যকে বাংলাদেশ বানাতে দেব না।"
আরও পড়ুন- সেলফি-চাহিদায় সকলকে টেক্কা অর্জুন, দুধকুমারের
বুধবার বিজেপির লালবাজার অভিযানে পুলিশ জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। বিজেপির দাবি, ১০০ জনের ওপর আন্দোলনকারী জখম হয়েছেন। দিলীপবাবু বলেন, "লক্ষাধিক শান্তিপূর্ণ মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাদ থেকে ইটও ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জল কামান, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মিছিলের ওপর। ওই গ্যাসে মুকুল রায়, রাহুল সিনহারা, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসুরা অসুস্থ হয়েছেন। অনেকেই এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এসবের প্রয়োজন ছিল না। আমরা পুলিশকে আক্রমণ করি নি। তৃণমূল সরকার বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে।" তাঁর দাবি, "জনজীবনকে বিপন্ন করে জ্যাম জটে মানুষকে কষ্ট দিতে পারতাম, কিন্তু তা আমরা চাই না। তবে যদি সরকার, পুলিশ সংযত না হয়, তাহলে পরবর্তীতে নিরীহ, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে না।"
আরও পড়ুন- লালবাজার অভিযানে দেদার খিচুড়ি, মিনারেল ওয়াটার বিলি করল বিজেপি
রাজ্যে কি বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চায়? এই প্রশ্নের উত্তরে এদিন দিলীপ ফের বলেন, "রাষ্ট্রপতি শাসক কোনও সমাধান নয়। বিজেপি এর ওপর ভরসা করে না। এখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিবর্তন করবো। তবে বাকি রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল কী করবেন তা জানি না।"