/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/bjp-759.jpg)
বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠক
রবিবার দ্বিতীয় দিনে পড়ল বিজেপির চিন্তন বৈঠক। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, সুরেশ পুজারী, শিবপ্রকাশ। রাজ্যের পক্ষ থেকে রয়েছেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, লকেট চ্যাটার্জী, ভারতী ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন ঘোষরা। এছাড়া রয়েছেন দুই মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীও। প্রথম দিনের বৈঠকের পরই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানান, "সদস্যতা অভিযানে আমাদের লক্ষ্য ছিল পঞ্চাশ লক্ষ। তবে যেভাবে রাজ্যে সদস্যর সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমরা খুব শীঘ্রই সত্তর থেকে পঁচাত্তর লক্ষে পৌঁছে যাবো। আমাদের এই আলোচনার মূল বিষয় হল তৃণমূল সরকারকে হটানো"। একই ভাবে সাংসদ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো, দেবশ্রী রায় চৌধুরী, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুরাও কীভাবে রাজ্য সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায় তা নিয়ে বিভিন্ন পর্যালোচনা করেন বৈঠকে, এমনটাই খবর।
উল্লেখ্য, ভারতীয় জনতা পার্টির দু'দিনব্যাপী চিন্তন শিবির শুরু হয়েছে ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরে। এর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ডায়মন্ডহারবারে রাজ্য বিজেপির চিন্তন বৈঠক হয়েছিল। এবার লোকসভা নির্বাচনের পরপরই চিন্তন শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথা মাফিক এই শিবিরে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে এদিন সকাল থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের আনাগোনা শুরু হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের মোট ৪৭ জন এদিনের শিবিরে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দেশদ্রোহী’, বিস্ফোরক মুকুল
শনিবার বৈঠকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, ""২০১৯ লোকসভার লক্ষ্যমাত্রা তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের চিন্তন বৈঠকে। এবার দুর্গাপুরের চিন্তন বৈঠকে ২০২১ -এর রোড ম্যাপ তৈরি করছে বিজেপি"। তবে ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে গেরুয়া নজরে ঠিক কতগুলি আসন তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জের সাংসদ।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/bjp-1-759.jpg)
এদিন দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, "২০১৬ বিধানসভার পর ডায়মন্ডহারবারে এরকম চিন্তন বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে ২০১৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের রোডম্যাপ বা টার্গেট তৈরি করেছিলাম। ২০১৯ লোকসভার নির্বাচনে পর সবাই মিলে পর্যালোচনা করে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করব। আমাদের লক্ষ্য এ রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠন করা।"
আরও পড়ুন- সভাপতি সোনিয়া, গান্ধী পরিবারেই আস্থা কংগ্রেসের
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এ রাজ্যে ১৮টি আসন পাওয়ায় ঘুম ছুটেছে তণমূল কংগ্রেসের। ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোররের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি বেশ কিছু নতুন রাজনৈতিক কৌশলও নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সংগঠিত ভাবে তার মোকাবিলা করার কথাও আলোচনা হতে পারে এই চিন্তন বৈঠকে। "এই বৈঠকে রাজ্য-রাজনীতি, সরকারের কাজ, প্রশাসনের অত্য়াচার এবং প্রতিরোধ, কার্যকর্তাদের মুক্ত করা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। রাজ্যের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে আন্দোলন করতে হবে সেই রূপরেখাও তৈরি হবে এই বৈঠকে", এমনটাই জানান দেবশ্রীদেবী।