রথযাত্রা নিয়ে কিছুতেই বিড়ম্বনা কাটছে না বিজেপির। প্রতি পদে বাধা পেয়ে তাই এবার রথযাত্রা পরিবর্তিত হতে চলেছে পদযাত্রায়। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে পদযাত্রা করতে চায় বঙ্গ বিজেপি। রথযাত্রার অনুমতি পেতে এখনও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে ভেবেই আন্দোলনের ধাঁচ বদল করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য সরকার গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ সভা ও আইন অমান্য কর্মসূচি করবে বিজেপি।
"রথ রথ করে" অনেকটাই সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই জেলা ও কলকাতায় রাস্তায় নেমে টানা আন্দোল়ন করবে গেরুয়া শিবির। জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে এসে এরাজ্যে সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে পদ্মশিবির। তাছাড়া আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে ২০ ডিসেম্বর জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: এবার রথযাত্রা নিয়ে জোড়়া মামলা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলবার
সোমবার কলকাতায় দলের রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "রথযাত্রার অনুমতি না মিললে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে রাজ্য জুড়ে পদযাত্রা করা হবে। প্রয়োজনে সাইকেল যাত্রাও হতে পারে। পদযাত্রা হবে ব্লক থেকে একেবারে জেলা স্তরে। তবে রথযাত্রার অনুমতি পেলেই তা ফের পরিবর্তন হয়ে যাবে। তার আগে জেলা স্তরে প্রতিবাদ সভা ও আইন অমান্য আন্দোলন হবে।"
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে রথযাত্রার ওপর ভর করেই নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলতে চেয়েছিল বিজেপি। এখন পর্যন্ত সেই যাত্রার অনুমতি মেলেনি। বরং সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে মোদী ব্রিগেড। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাই বাংলা, ওড়িশা, আসাম সহ অন্যান্য রাজ্যে লোকসভার আসনবৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন মোদী-শাহ জুটি। স্বভাবতই সেভাবেই ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে। সেই কারণেই রথযাত্রার বিকল্প কর্মসূচি নিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।
সায়ন্তনবাবু জানান, পৌষ পার্বনের পর রাজ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃত্ব। একইসঙ্গে লালবাজার অভিযানের মত কলকাতায় বড় ধরনের অভিযান বা আইন অমান্য আন্দোলন সংগঠিত করা হবে। যথারীতি ফেব্রুয়ারিতে হবে ব্রিগেডের সভা।