বীরভূমের নলহাটি থেকে গ্রেফতার করা হল রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ধ্রুব সাহাকে। কেন এই গ্রেফতার? তা নিয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি জেলা পুলিশ। বলা হয়েছে, পুরনো মামলায় বিজেপির এই যুব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার ও শাসক দলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, হিংসা ও অস্ত্র আইনে বীরভূমের বিভিন্ন থানায় বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। এর আগে চিট ফান্ড মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল গেরুয়া দলের এই নেতাকে। পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি।
আরও পড়ুন: বাঙালিয়ানার জটিল ধাঁধায় পদ্মশিবির
গত ৬ সেপ্টেম্বর দলীয় পাতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বীরভূমের নানুরে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই। পরে এনআরএস হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতেই এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরে, স্বরূপ গড়াইয়ের সৎকার ঘিরেও পুলিশের সঙ্গে পদ্ম শিবিরের নেতাদের টানাপোড়েন চলে। প্রতিবাদে মুখর হয় বিজেপি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত শুক্রবার বীরভূমের পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। অভিযোগ, সেখানেই পুলিশকে হুমকি দেন ধ্রুব সাহা। তিনি বলেছিলেন, "আমরা (বিজেপি) ক্ষমতায় এলে পুলিশ সুপারকে জেলবন্দি করব। ওঁর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।" এরপরই রবিবার বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছে বিজেপি। বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, "তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের বদলে পুলিশ আমাদের কর্মী, নেতাদের বেছে বেছে ধরছে। কিন্তু, এইভাবে আর কতদিন আটকে রাখা যাবে?" ধ্রুব সাহার গ্রেফতারির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া নেতৃত্বের। তবে, এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলে নি।
Read the full story in English