মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, এই খবরে রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। এরইমধ্যে রবিবার সল্টলেকের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য মুকুল রায় নিজেই এই বিভ্রান্তি কাটালেন। এদিন মুকুল রায় বলেন, "আমি বিজেপিতে আছি, বিজেপিতেই থাকব। এখানে আমি যথাযথ সম্মান পাচ্ছি। অযথা আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।" তিনি তৃণমূলে যাচ্ছেন একথা কেন রটানো হচ্ছে, তার জন্য মুকুলবাবু পুর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
কেন মুকুল রায় দিল্লিতে বিজেপির বৈঠকে নেই? কেন তড়িঘড়ি তিনি কলকাতা ফিরলেন? কেন তাঁর দিল্লির বাসভবনে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহর ছবি নেই? তাহলে কী পুরনো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন? এমন নানা গুঞ্জন চলছে কয়েক দিন ধরেই। রবিবার মুকুল রায় বলেন, "কোভিড-১৯ মেনে আমি রাজনীতির পরিধি বাড়াইনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে কাজ করছি। রাজনীতির আঙিনা থেকে একদিনও সরে যাইনি। কিন্তু এই বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে যে আমি ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে দিয়েছি, আমি ওমুক জায়গায় গিয়েছি। আমাকে এটা আঘাত করেছে।" তিনি স্পষ্ট ঘোষণা, "আমি বিজেপিতে ছিলাম, আছি ও থাকব। নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে বিজেপি দল ও নেতৃত্ব আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছে।" চোখের অপারশেনের জন্য তিনি কলকাতায় ফিরেছেন বলে জানান।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সংঘাতের তত্বও উড়িয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে কারও কোনও সংঘাত নেই। নেতৃত্বের ছবি সরানো প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাড়িতে মোদী ও শাহর পোস্টার খুলে নিয়েছে দিল্লি নির্বাচন কমিশন ও দিল্লি পুরসভা। সেটা নজরে ছিল না। তিনি বিজেপি ছাড়ছেন এই জল্পনাকে চক্রান্ত বলে মনে করেন মুকুল রায়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের যোগাযোগ নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, "এর একটা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। তদন্তে যে দোষী সাব্যস্ত হবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"
এদিন করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা শোনা যায় মুকুলের গলায়। রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, "এমন লকডাউন আগে হলে ভাল হত। লকডাউনের প্রথম দিন থেকে এমন হত তাহলে আজকের এই দুঃখের দিন দেখতে হত না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন