Advertisment

বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটিতে গুরুত্ব বাড়ল লকেট-অর্জুন-সৌমিত্রর

দলের মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি হলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নানা ভাবে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে এই কমিটিতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
BJP, বিজেপি

প্রতীকী ছবি।

দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে করোনা আবহেই বঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হল। সোমবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই নতুন কমিটির কথা ঘোষণা করেন। এবারের কমিটিতে নির্বাচিত সাংসদদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনও আনা হয়েছে। গত কমিটির সহসভাপতি তথা নেতাজি পরিবারের সদস্য চন্দ্রকুমার বসুকে এবারের কমিটিতে কোনও পদেই রাখা হয়নি। বিশেষ পরিবর্তন আনা হয়েছে দলের মোর্চাগুলিতেও। তবে মুকুল রায়ের হাত ধরে যাঁরা গেরুয়া শিবিরে এসেছিলেন তাঁদেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কমিটিতে। এমনকী নতুন কমিটিতে রয়েছেন লোকসভা ভোটে পরাজিত আইপিএস ভারতী ঘোষও। কিন্তু স্বয়ং মুকুল রায় এখনও দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যই রয়ে গিয়েছেন।

Advertisment

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসনে জয়ী হয় গেরুয়া শিবির। সেই সব সাংসদদের অনেককেই এদিন ঘোষিত রাজ্য কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে মহিলা মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অন্যতম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। সহসভাপতি করা হয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে। সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসা হয়েছে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্য়োতির্ময় সিং মাহাতোকে। তবে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার আগের কমিটিতেও সহ-সভাপতি ছিলেন, এবারও একই পদে রয়েছেন। এছাড়া, উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুকে এসটি মোর্চার রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, যুব মোর্চার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দেবজিৎ সরকারকে। সেই পদে বিষ্ণপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে বসানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি রাজ্য যুব সংগঠনের সভাপতি হয়েছিলেন। তাঁকে সরিয়ে পরবর্তীকালে স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদে বসেন। তৃণমূল-সৌমিত্র দূরত্বের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল যুব তৃণমূল সভাপতির পদ। এরপর মুকুল রায়ের হাত ধরে সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং নিজের পুরানো আসন থেকে কঠিন লড়াই জিতে সংসদে গিয়েছেন। সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ সৌমিত্রর এই পদপ্রাপ্তি বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে বিজেপির যুব সংগঠনের দায়িত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের সম্পাদক করা হয়েছে বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে। তিনিও মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এক বিধায়ক দুলাল বর দায়িত্ব পেয়েছেন এসসি মোর্চার। তিনি কংগ্রেস থেকে তৃণমূল ঘুরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিষাণ মোর্চার সভাপতিও পরিবর্তন করা হয়েছে, কিন্তু সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি হিসাবে আলি হোসেনই দায়িত্বে থাকছেন। দলের মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি হলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নানা ভাবে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে এই কমিটিতে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

dilip ghosh bjp
Advertisment