অভাবনীয় সাফল্য তৃণমূলের। ছ'মাস আগের ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গেল। তিনটি কেন্দ্রের তিনটিতেই জয় পেল তৃণমূল। উল্টো ছবি গেরুয়া শিবিরের। হাতছাড়া হল দলের রাজ্য সভাপতির খগড়পুর কেন্দ্রটি। কালিয়াগঞ্জে খাটেনি পদ্মের মেরুকরণের রাজনীতি। বাম কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের সম্মুখীন। অন্যদিকে, যে এনআরসি ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদী-শাহরা বাংলায় পদ্ম চাষের চেষ্টা করছেন তা ঘিরেও সংশয় থেকে গেল। অন্তত তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ফলাফল সেটাই স্পষ্ট করল।
আরও পড়ুন: ‘পিকে ম্যাজিক’? একশোয় একশো তৃণমূল
খড়্গপুর সদর কেন্দ্র ছিল বিজেপির 'সম্মানের লড়াই'। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসন কী ব্যবধান বাড়াতে পারবে বিজেপি? ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যবধান ছিল ৬ হাজারের সামান্য কিছু ভোট ।পরে লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন তিনি। জয় পান দিলীপবাবু। লোকসভার নিরিখে খড়্গপুর সদর বিধানসভা গেরুয়া প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন প্রায় ৪৫ হাজারের বেশি ভোটে। কিন্তু সেই কেন্দ্রেই ভরাডুবি হল বিজেপির। এই কেন্দ্রে বার তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার জিতেছেন ২০ হাজার ৮১১ ভোটে।
কংগ্রেস গড় বলেই পরিচিত ছিল কালিয়াগঞ্জ। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জেতে কংগ্রেস। তবে লোকসভা ভোটের নিরিখে কালিয়াগঞ্জে বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে যায় বিজেপি। প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল গেরুয়া দল। এবার সেই গড়েই কার্যত অস্তিত্ব সংকটে কং-বাম জোট। তৃণমূলের কাছে হেরে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে। কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী তপনদেব সিং জয় পেয়েছেন ২,৪১৪ ভোটের ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: বিজেপির ঔদ্ধত্যের রাজনীতি পরাজিত হয়েছে: ‘বিজয়িনী’ মমতা
লোকসভায় করিমপুরে ভাল ফল হয়নি বিজেপির। কিন্তু, লোকসভার পর থেকে সীমান্ত কেন্দ্র করিমপুরে সংগঠন পোক্ত করতে মরিয়া হয় গেরুয়া শিবির। প্রার্থীও করা হয় দলের রাজ্য় সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে। তবে, তাতে সাফল্য মেলেনি। করিমপুরে লোকসভা ভোটে তৃণমূল এগিয়েছিল ১৩ হাজারের বেশি ভোটে। এবার তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংয়ের ব্যবধান বেড়ে হল ২৪ হাজারের বেশি।