Advertisment

'সংখ্যালঘু তোষণ' নিয়ে দিলীপের তোপের জবাব দিলেন মমতা

"এটি একটি নিয়মমাফিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ ছাড়া কিছুই না। প্রকল্পগুলিকে যাতে কার্যকর করা যায় সেই কারণেই এই উদ্যোগ। এখানে কোনো ছাত্র বিভাজনের রাজনীতি নেই," বলেছেন মমতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিজেপির তোপের জবাব দিলেন মমতা

সংখ্যালঘু স্কুলে ডাইনিং হলের ব্যবস্থার নির্দেশিকা জারি হতেই বিজেপির কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গেই আজ, শুক্রবার মুখ খুললেন তিনি। একটি সংবাদ সংস্থাকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "বিজ্ঞপ্তির মধ্যে দিয়ে সংখ্যালঘু ছাত্রদের সংখ্যা চিহ্নিত করে সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগের তহবিলগুলোকে চ্যানেলাইজ করতে পারব আমরা। এটি একটি নিয়মমাফিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ ছাড়া কিছুই না। প্রকল্পগুলিকে যাতে কার্যকর করা যায় সেই কারণেই এই উদ্যোগ। এখানে কোনো ছাত্র বিভাজনের রাজনীতি নেই।"

Advertisment

Advertisment

প্রসঙ্গত, রাজ্য যে সমস্ত সরকারি স্কুলে সংখ্যালঘু পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি সেইসব স্কুলগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে অবিলম্বে ডাইনিং হলের ব্যবস্থা করার নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই নির্দেশিকার তীব্র নিন্দায় সরব হন বিজেপির রাজ্যে সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। টুইটারে এই নির্দেশিকাটি পোস্ট করে দিলীপ ঘোষ লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে বলা আছে রাজ্যের যেসব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্কুলে মোট পড়ুয়াদের ৭০ শতাংশ বা তার বেশি সংখ্যালঘু আছে, সেখানে খাবার টেবিল বা ডাইনিং হলের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। কেন ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্যের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল সরকার?"

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে কোচবিহার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস (সংখ্যালঘু সেকশন) থেকে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে মিড-ডে মিলের আওতায় থাকা স্কুলগুলিকে নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ বা তার বেশি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত স্কুলের তালিকা জমা দিতে হবে। সেই তালিকায় থাকবে স্কুলের নাম, ব্লক বা পুরসভা, পড়ুয়ার সংখ্যা, সংখ্যালঘু পড়ুয়ার সংখ্যা ও সংখ্যালঘু পড়ুয়ার হার। যদিও সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তিটি রাজ্যে সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের তরফে এসেছে।

মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন গিয়াসউদ্দীন মোল্লা, এবং দফতরের প্রধান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। রাজ্যের তরফে এই নির্দেশনামা জারি করার পরই নতুন করে ‘সংখ্যালঘু তোষণ’-এর অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গে গিয়াসউদ্দীন মোল্লা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েই এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। আমরা সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য অতিরিক্ত কিছুই করছি না। যে তহবিল বরাদ্দ করা ছিল সেই ভিত্তিতেই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে। প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই যেখানে ৭০ শতাংশ বা তার বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘু ছাত্র আছে সেখানে আমরা তাদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করব।"

Read the full story in English

Mamata Banerjee west bengal politics dilip ghosh
Advertisment