মৌসম বেনজির নূর দল ছাড়লেও কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের। তবুও গণিখান চৌধুরির ভাগনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক ডেকে "ড্যামেজ কন্ট্রোল"-এ নামতে হল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসকে। 'মৌসম বদলে'র প্রতিক্রিয়া এমনই যে মালদা উত্তর কেন্দ্রে আসন্ন লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেই ক্ষান্ত হতে পারেনি কংগ্রেস। মৌসম দল ছাড়ায় কংগ্রেসের কেন কোনও ক্ষতি হবে, রীতিমতো সেই ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে রাজ্যে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈকে। মনে করা হচ্ছে কংগ্রেসের এই "ড্যামেজ কন্ট্রোল"-এর কারণ মূলত দু'টি।
আরও পড়ুন: মৌসম বদল, হাত ছেড়ে জোড়াফুলে গণিখানের ভাগনি
প্রথমত, দল ছাড়ার কারণ হিসাবে মৌসম নূর জানিয়েছেন, মোদী বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলই এগিয়ে রয়েছে। গণিখান চৌধুরির ভাগনি তথা একদা রাহুল গান্ধীর স্নেহধন্য ও তরুণ ব্রিগেডের সদস্য মৌসমের এমন উক্তি নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের জন্য অস্বস্তিকর। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর, ধীরে ধীরে সংখ্যালঘুদের দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন সোমেন মিত্র। এমতাবস্থায়, কংগ্রেস রাজনীতির সম্ভ্রান্ত সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যকে হারানো মানে সংখ্যালঘুদের মনেই আস্থা নড়ে যাওয়া। মূলত এই দুই কারণেই অস্বস্তিতে কংগ্রেস।