Advertisment

প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

মৃত্যুকালে কংগ্রেসের এই নেতার বয়স হয়েছিল ৭৮। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
প্রয়াত সোমেন মিত্র।। বেনিয়াপুকুরে ঘরেই মৃতদেহ ২০ ঘণ্টা।। অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু কলকাতায়

অন্তিম যাত্রায় সোমেন মিত্র। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ

কংগ্রেসের এক যুগের অবসান ঘটিয়ে প্রয়াত হলেন সোমেন মিত্র। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে বুধবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। রাতেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টুইট করে সভাপতির মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়।

Advertisment

মৃত্যুকালে কংগ্রেসের এই নেতার বয়স হয়েছিল ৭৮। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি। বুধবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর, এমনটাই জানান হয়েছে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে সোমেন মিত্র প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর তিনি সরাসরি তৃণমূলে যোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের টিকিটে ২০০৯ সালে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে। কংগ্রেস নেতার অসুস্থতার খবর পেয়ে গত রবিবার থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন মমতা। এদিন সোমেন মিত্রর প্রয়াণে শোকপ্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মধ্য কলকাতায় কংগ্রেসের এই বর্ষীয়াণ নেতা জনপ্রিয় ছিলেন 'ছোড়দা' নামে। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করা সোমেন মিত্র ১৯৯৮ সালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। মাঝে তৃণমূলে গেলেও ২০১৪ সালে আবার তিনি সোনিয়া শিবিরেই যোগদান করেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদের দায়িত্ব নেন তিনি।

সোমেন মিত্রর প্রয়াণে এদিন গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার টুইটে তিনি লেখেন, "এই কঠিন সময়ে সোমেন মিত্রের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার ভালবাসা এবং সমবেদনা রইল। আমরা সবসময়ই তাঁকে ভালবাসা, স্নেহ এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব।"

বর্ষীয়াণ এই নেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।

publive-image শেষ শ্রদ্ধায় সোমেন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

বৃহস্পতিবার করোনা প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই রাজ্য কংগ্রেসের তরফে বর্ষীয়াণ নেতাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে বলা জানান হয়েছে। জানা গিয়েছে, সকাল ৯.৩০: বেলভিউ হাসপাতাল থেকে বিধান ভবনে নিয়ে আসা হবে তাঁর মরদেহ। দুপুর ১২.০০ পর্যন্ত বিধান ভবনেই থাকবে নেতার দেহ। অনুরাগী এবং নেতারা সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর ১২:৩০ নাগাদ বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে দীর্ঘদিনের এই বিধায়ককে। সেখান থেকে সোমেন মিত্রের বাসভবন ৩ নং লোয়ার রডন স্ট্রিটে আনা হবে দেহ। এরপর আদি বাড়ি ৪৫ নম্বর আমহার্স্ট স্ট্রিট হয়ে নিমতলা মহা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

CONGRESS
Advertisment