/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/nabannaphoto.jpg)
ফাইল ফোটো
মহার্ঘ্য ভাতা বাড়াতে হবে। এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে আটক হলেন বাম কর্মী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটির ২০ সদস্য। জানা যাচ্ছে, আটক রাজ্য সরকারি কর্মীরা সকলেই নবান্নের বিভিন্ন দফতরে কাজ করেন।
এদিন নবান্নের একতলার ক্যান্টিনের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন জনা দশেক কর্মী। এই দৃশ্য দেখে প্রথমে চমকে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। কারণ, নবান্নে এ ধরনের বিক্ষোভ এই প্রথম। এরপর ক্রমশ বাড়তে থাকে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই এক তলার ক্যান্টিন চত্বর ছেড়ে নবান্নের নর্থ গেটের দিকে চলে যান তাঁরা। সেখানেই ২০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।
বর্ধিত মহার্ঘ ভাতার দাবিতে নবান্নে বিক্ষোভ রাজ্য কো অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যদের pic.twitter.com/OEWuTyFILW
— IE Bangla (@ieBangla) November 29, 2018
বৃহস্পতিবার ২০টি বাম সংগঠনের মূলত কৃষক ও ক্ষেত মজুর সংগঠনের পদযাত্রার কর্মসূচি শেষ হয়েছে কলকাতায়। সেই সভা থেকে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির এই ২০ সদস্যের আটক হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, সরকার ভুল পথে হাঁটছে। কর্মীদের অবিলম্বে ছাড়তে হবে বলে দাবি করেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরাও এর আগে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতার দাবিতে পথে নেমেছিলেন।
আরও পড়ুন- মোদি-দিদি আঁতাতের অভিযোগ করেও রথ আটকাতে বললেন সূর্যকান্ত
প্রসঙ্গত, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকার ও সরকারি কর্মীদের বিরোধ নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) থেকে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পরে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানিয়ে সেই মামলা ফের স্যাটের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় গোড়ার দিকে স্যাটে গিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি বলেছিলেন, "মহার্ঘ ভাতা সরকারের দয়ার দান। এ বিষয়ে দাবি করা যায় না"। সরকারের এহেন মন্তব্যে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মামলাকারী সরকারিকর্মীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সময় নিজের কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। কারণ, দিল্লি বা অন্য রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যেসব কর্মীরা কাজ করছেন, তাঁরা এ রাজ্যে কর্মরত কর্মীদের তুলনায় উচ্চ হারে মহার্ঘ ভাতা পেয়ে থাকেন। হাইকোর্ট জানায়, এই বিভেদমুলক দৃষ্টিভঙ্গি অনভিপ্রেত এবং তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।