কয়েকটি রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রীর পেট্রোল-ডিজেলের উপর কর কমানোর বার্তা প্রসঙ্গে আবারও তৃণমূলের নিশানায় কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী সরকার রাজ্যের পাওনা টাকা দিয়ে দিলে আগামী ৫ বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারও পেট্রোল-ডিজেলের উপর থেকে সব কর ছাড় দেবে বলে প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের।
জ্বালানির অগ্নিমূল্যে জেরবার আমজনতা। পেট্রোল-ডিজেলের লাগাতার দাম-বৃদ্ধির জেরে হু হু করে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেরও। নাভিশ্বাস উঠছে আম আদমির। জ্বালানি তেলের চড়া দাম নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করে পথে নেমেছে বিরোধীরা। রাজ্যে-রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। বিরোধীদের ক্রমাগত এই আক্রমণের জবাবে বুধবারই মুখ খোলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমজনতার দুর্ভোগের দায় ঠেলেছেন পশ্চিমবঙ্গ সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির উপর।
মোদী বলেন, 'কিছু রাজ্য কর কমিয়েছে। কিন্তু কিছু রাজ্য জনগণকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। এই কারণেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম চড়া রয়েছে। এই সব রাজ্যগুলির জনগণের প্রতি শুধু অবিচারই করছে না, উল্টে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির উপরও প্রভাব বিস্তার করছে। মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, ঝাড়খণ্ড এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি কোনও কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের কথা শোনেনি। ফলে এই সব রাজ্যের বাসিন্দাদের উপর বোঝা চাপছে। আমি অনুরোধ করছি যে, নভেম্বরে যা করা উচিত ছিল, তা এখন করুন। কর কমিয়ে জনগনকে সুবিধা দিন।''
আরও পড়ুন- ‘কমানোর দায় শুধু রাজ্যের?’, পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ে মোদীকে পাল্টা মমতার
প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা প্রসঙ্গে এবার পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট জবাব। ''এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি, যদি কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের বকেয়া পরিশোধ করে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারও আগামী পাঁচ বছরের জন্য পেট্রোল এবং ডিজেল থেকে সমস্ত কর ছাড় দেবে! ৯৭,৮০৭,৯১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। নরেন্দ্র মোদীজি, দেখা যাক আপনি দিতে পারেন কিনা।''
এর আগে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জ্বালানি তেলে কর-ছাড় প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ''কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ৯৭ হাজার কোটি টাকা। উনি আমাকে ৫০ হাজার কোটি টাকা দিন। পরের দিন পেট্রোপণ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড় দিয়ে দেব। আপনার রাজ্য ৫ হাজার দিয়েছে, আমি ১০ হাজার কোটি দেব।' বাংলার বিরুদ্ধে মোদী সরকার বিমাতৃসূলভ আচরণ করছে বলে আবারও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।