রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিধানসভা পরিদর্শন নিয়ে বেনজির নাটক রাজ্যে। রাজ্যপালের জন্য নির্দিষ্ট তিন নম্বর গেট 'বন্ধ' থাকায়, অন্য গেট দিয়েই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় আসেন জগদীপ ধনকড়। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল বিধানসভার বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "অধিবেশন স্থগিত মানে বিধানসভা বন্ধ নয়। স্পিকার বলেছিলেন আমাকে স্বাগত জানাবেন। সেটা জানতে পেরেই আমি সম্মতি জানিয়েছিলাম চিঠি দিয়ে। কী এমন ঘটল যে স্পিকার অনুপস্থিত থাকলেন? অপমানিত বোধ করছি। গণতন্ত্র এভাবে চলতে পারে না।"
আরও পড়ুন: ঘরে পড়ে রইল মায়ের নিথর দেহ, জমির ভাগ-বাটোয়ারায় ব্যস্ত ছেলেমেয়ে
প্রসঙ্গত, বুধবারই ধনখড় জানিয়েছিলেন, 'বিধানসভা পরিবদর্শনে যেতে চেয়েছি। স্পিকার আমাকে আমন্ত্রণ করেছেন। উনি স্বাগত জানিয়েছেন। আমি অত্যন্ত খুশি। এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। আমি সস্ত্রীক যাব কি না উনি জানতে চেয়েছিলেন। আমার সঙ্গে ফার্স্ট লেডিও যাবেন।' যদিও অন্যত্র কর্মসূচী থাকায় আজ বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই জানা গিয়েছে বিধানসভা সূত্রে।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বিল: নীরব একদা অতি সরব তৃণমূল, সমর্থনে শিবসেনা-জেডিইউ
বৃহস্পতিবার সেই মতোই সকালে রাজভবনে উপস্থিত হন রাজ্যপাল। যদিও বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিবেশন বন্ধ থাকায় এ দিন সেই গেট বন্ধ ছিল। কিন্তু রাজ্যপালের জন্য বরাদ্দ গেট রাজ্যপালের আগমনেও কেন বন্ধ থাকল তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যপাল বলেন, "অধ্যক্ষের সচিব আমার সচিবকে জানিয়েছিলেন তিনি খুব খুশি আমি আসছি বলে। আমাকে স্ত্রীকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ করা হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই কী হল জানি না, ফের আমার সচিবকে ফোন করে বলা হয় অধ্যক্ষ থাকতে পারবেন না। ওঁর সচিবরাও থাকতে পারবেন না। এ ভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না। স্পিকার আমাকে স্বাগত জানাবেন বলেছিলেন। স্পিকারে চিঠি লিখব। এটা হওয়া উচিত না।'
এদিকে, বুধবার বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “রাজ্যপাল কোনও বিলে সই করছেন না। সেই কারণে আলোচনার কোনও বিষয় না থাকায় আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার বিধানসভা মুলতুবি থাকবে”। ফের শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন হবে বলেও জানিয়ে দেন বিমানবাবু। তবে রাজভবনের তরফে এই অধ্যক্ষের এই মত খণ্ডন করা হয়েছে। এমনকী বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য় মুকুল রায়ও এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন। এই ঘটনাকে নজীরবিহীন আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট।