বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা কিছুতেই থামছে না। আবারও উত্তপ্ত হল উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া। বোমার ঘায়ে জখম হয়ে মৃত্যু হল ২ ব্যক্তির। এ ঘটনায় জখম হয়েছেন আরেক মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্য সমাজ মোড়ের কাছে গতকাল মাঝরাতে ২-৩টি বোমা ছোড়া হয়। এ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ হালিম (৬০) ও মহম্মদ মুখতারের (৬৮)।
নিহত দু’জনই তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘নিহত দু’জনই এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত ছিলেন’’। নিহতদের বাড়িতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ জুন কাঁকিনাড়ায় বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আজও রণক্ষেত্র কাঁকিনাড়া, বোমাবাজির প্রতিবাদে রেল অবরোধ
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তেতে রয়েছে কাঁকিনাড়া এলাকা। গত ১৯ মে ভাটপাড়ায় বিধানসভা উপনির্বাচন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা। ভোট পরবর্তী সংঘর্ষ ঘিরে দফায় দফায় বোমাবাজি চলে। রেল অবরোধও করা হয় সেসময়। উল্লেখ্য, কাঁকিনাড়া এলাকা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ওই কেন্দ্রে এবার একদা তৃণমূলের বাহুবলী নেতা অর্জুন সিংয়ের হাত ধরেই পদ্মফুল ফুটেছে। উপনির্বাচনেও তৃণমূলের মদন মিত্রকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিং। ক’দিন আগে ভাটপাড়া পুরসভাও দখল করে বিজেপি।
এদিকে, শনিবার সন্দেশখালিতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এ ঘটনায় ২ বিজেপি কর্মী ও ১ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন কর্মী নিখোঁজ বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বসিরহাট এলাকায় বনধ ডাকে বিজেপি। পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে কালা দিবস পালন করে বিজেপি।
Read the full story in English