Advertisment

সিঙ্গুর থেকেই লাল পতাকার মিছিল, আজ গন্তব্য রাজভবন

একসময় সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা তৈরির চেষ্টাই কাল হয়েছিল সিপিএমের। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সাত বছর পরও কিন্তু লাল নীতি বদলায়নি। সিঙ্গুর থেকে শিল্পের দাবিতে বুধবার মিছিল শুরু করেছে সারা ভারত কৃষক সভা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kishan rally

ব্রিগে়ডে জমায়েতের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় প্রচার চলছে। (ফাইল ছবি)

রাজ্য নীল সাদার রমরমার মধ্যেও সিঙ্গুরবাসী দেখলেন লালে লাল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। যেখানে বাম জমানায় টাটা ন্যানো কারখানা হঠাতে প্রায়শই মঞ্চ বাঁধত তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ ঘরবাড়ি করে নিয়েছিলেন সিঙ্গুরকে। সেই সিঙ্গুরকেই এবার আন্দোলনের ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিল কৃষক সভা। বুধবার সিঙ্গুর থেকে লাল পতাকা কাঁধে নিয়ে হাজার হাজার কৃষক পদযাত্রা শুরু করলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের নানা দাবির সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে আন্দোলনকারিরা যোগ করেছেন রাজ্যের শিল্পায়ন। তাই মিছিলের সূত্রপাত সেই সিঙ্গুর।

Advertisment

সিঙ্গুর থেকে রাজভবন যাত্রা। সারা ভারত কৃষক সভার লক্ষ্য ছিল, সিঙ্গুর থেকে সূচনার সময় জমায়েত হবে ১০ হাজার। সেই সংখ্যা অতিক্রান্ত বলে খবর। কৃষর সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার কাল বলেন, "অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি। সিঙ্গুর থেকে ১৩ হাজার মানুষ পদযাত্রা করলেন ডানকুনি পর্যন্ত। স্থায়ী পদযাত্রীরা হাওড়ায় বিভিন্ন জায়গায় রাত্রিবাস করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বালি ঘাট থেকে রওনা দেব রাজভবনের উদ্দেশ্যে।" এর আগে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আজ মিছিলে হাঁটবেন ৫০ হাজার কৃষক ও ক্ষেতমজুর। গতকাল সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ লাল ঝান্ডার মিছিল ডানকুনি পৌঁছয়।

গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরা, সিপিএমের বহু পুরোনো রাজনৈতিক কৌশল। গরীবের পার্টি হিসাবেই আত্মপ্রকাশ করলেও, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩৪ বছরের শাসনকালে শেষের দিকে সিপিএম অনেকটাই শহুরে দলে পরিনত হয়ে গিয়েছিল। পুঁজিপতিদের কাছে একটু বেশিই গ্রহণীয় হয়ে উঠেছিল। ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনই আভাস দিয়েছিল সিপিএমের অন্ধকার ভবিষ্যতের। ক্ষমতা হারানোর সাত বছর পরে ফের গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার লক্ষ্য নিয়ে পথে নামল বাম কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠন। শহরাঞ্চলে সিপিএমের অনেক শাখা সংগঠনের মিছিলকেই সংখ্যার বিচারে হার মানাবে এই মিছিল, এমনটাই প্রত্যাশা।

সিঙ্গুরে কৃষকদের জমিতে শিল্পের বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কৃষিজমিতে শিল্প নয়, এই দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলে। কলকাতায় ২৬ দিনের অনশন কর্মসূচি পালন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসন ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছে সিপিএম। কালের বিচিত্র নিয়মে তাদের কৃষক সংগঠন ওই জমিতেই আজ শিল্পের দাবি জানাচ্ছে। যদিও সঙ্গে কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম, ৬০ বছরের ওপর কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের ন্যূনতম ৬ হাজার টাকা পেনশন, এবং অন্যান্য দাবিও রয়েছে।

মূল দাবি, সিঙ্গুর সহ রাজ্যের সর্বত্র শিল্পের কারণে অধিগৃহীত জমিতে শিল্প স্থাপনই করতে হবে। বুধবার সিঙ্গুরে হাজির ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি নৃপেন চোধুরী, সিপিএম নেতা মদন ঘোষ, ক্ষেতমজুর সংগঠনের নেতা তুষার ঘোষ ও অমিয় পাত্র।

west bengal politics Cpm tmc
Advertisment